সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত সরকার (India) এবং দাসাল্ট অ্যাভিয়েশনের মধ্যে হওয়া ৫৯ হাজার কোটি টাকার রাফালে যুদ্ধবিমান চুক্তি খতিয়ে দেখতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্স। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিজেদের পুরনো অস্ত্রে শান দেওয়া শুরু করে দিল Congress। তাঁদের দাবি, ফ্রান্সের প্রশাসন বিতর্কিত এই চুক্তি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মানে এতে যে গরমিল হয়েছে, সে ইঙ্গিত ফ্রান্স সরকারও পেয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, ফ্রান্সের এই তদন্তের নির্দেশেই স্পষ্ট এতদিন ধরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) লাগাতার যে অভিযোগ করে আসছিলেন তা সত্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের দাবি, এই চুক্তি নতুন করে খতিয়ে দেখতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে তদন্ত হোক।
প্রসঙ্গত, শনিবার ফরাসি সংবাদমাধ্যম মিডিয়াপার্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত রাফালে চুক্তিটির পুনরায় তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার ফরাসি পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা তদন্ত শুরুর কথা স্বীকারও করেছে। এর আগে চলতি বছর এপ্রিলে রাফালে (Rafale Deal) চুক্তিতে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশিত হয় মিডিয়াপার্টেরই একাধিক রিপোর্টে। এই রিপোর্টগুলির মধ্যে একটিতে ফ্রান্সের পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের আর্থিক অপরাধ শাখার (PNF) প্রাক্তন প্রধান, ইলাইন হোলিটের বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। সেখানে বলা হয়, সহকর্মীদের আপত্তি সত্ত্বেও ইলাইন রাফালে জেট চুক্তির তদন্ত হঠাৎ বন্ধ করে দেন। কারণ হিসাবে ইলাইন জানিয়েছিলেন, ‘ফ্রান্সের এবং সংস্থাগুলির স্বার্থের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ ইলাইনের পরে এখন পিএনএফের প্রধান জিন-ফ্রানসোইস বোহনার্ট। তিনি পদ গ্রহণ করেই তদন্ত পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিল বকেয়া সাড়ে ৮ লক্ষ টাকারও বেশি! বিতর্কের কেন্দ্রে নভজ্যোৎ সিং সিধু]
এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নেমে পড়েছেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala )। তিনি বলছেন, সরকারকে রাফালে মামলায় যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্ত শুরু করতে হবে। কারণ, সত্য খুঁজে বের করার এটাই একমাত্র উপায়। তিনি বলছেন,”রাফালে মামলায় দুর্নীতি এবার একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ফ্রান্স সরকারের তদন্তের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে রাফালে মামলায় কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর বক্তব্য সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।” এরপরই সুরজেওয়ালার আক্রমণ, ফ্রান্স সরকার যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ মেনে নিচ্ছে, সেখানে যে দেশে আসল দুর্নীতিটা হল, সেখানে কী যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত শুরু হওয়া উচিত নয়? কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর কি সাহস আছে? নিজের সরকারকে যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে দাঁড় করানোর?