সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election of Commission India)। ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। তার আগে দলীয় কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করল কংগ্রেস (Congress)। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে জাতিগত জনগণনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হল। শীঘ্রই কংগ্রেস শাসিত পাঁচ রাজ্যে জাতিগত জনগণনা হবে, জানালেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতৃত্বের সাফ কথা, “দেশ জাতিগত জনগণনা চায়। বিজেপি না চাইলে সরে যাক।”
ঘণ্টা চারেকের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে জাতিগত জনগণনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাঁচ রাজ্যের ভোটের আগে বিজেপির উপর জাতিগত জনগণনার বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা হবে। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের অধিকাংশ দল জাতিগত জনগণনা চায়। তবে এই বিষয়ে জোটের সব দলের সঙ্গে আলোচনা।” রাহুল আরও বলেন, “এটা ধর্মের বিষয় নয়। গরিবির প্রসঙ্গ। এক দেশের মধ্যে দুটো দেশ। একটি আদানিজির, অন্যটি বাকিদের। জাতিগত জনগণনা হলে দেশের ছবিটা পরিষ্কার হবে।”
[আরও পড়ুন: ৫০০ বছরে উদ্ধার হয়েছে রাম জন্মভূমি, এবার সিন্ধ ফেরানোর দাবি যোগীর]
রাহুল আরও বলেন, “এর পর অর্থনৈতিক সমীক্ষা হবে। কার হাতে কত সম্পদ, কে নিঃস্ব, খতিয়ে দেখে নয়া নীতি তৈরি হবে।” কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উন্নতি চান না। সোমবারের বৈঠকে সাত দফা প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস। সেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশজুড়ে জাতিগত জনগণনা হবে। এছাড়াও মহিলা সংরক্ষণ বিলে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ, মণিপুর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে কংগ্রেসের প্রস্তাবে।
[আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর থেকে শুরু পাঁচ রাজ্যের ভোটগ্রহণ, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের]
এছাড়াও সাংবাদিক এবং লেখকদের উপর মোদি সরকারের আগ্রাসনের নিন্দা করা হয় দলীয় প্রস্তাবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যাবহার নিয়ে নিন্দা করা হয়। “চিনা লগ্নি নিয়ে আপত্তি হাস্যকর, যেখানে চিনের সরকারি মালিকানাধীন সংস্থা বিনিয়োগ করছে ভারতে, এমনকী পিএমকেয়ারে চিনা সংস্থা ডোনেশন দিয়েছে।” ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ১০০০ মানুষের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করা হয় বৈঠকে।