মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha 2024) লড়ছে। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে বামেদের সর্মথন নিয়ে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু অভিযোগ, স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের ছাড়াই প্রচার করছেন প্রার্থী। কংগ্রেস কর্মীদের থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে সিপিএমের কর্মীদের। বুধবার সকালে বাম সমর্থিত উলুবেড়িয়ার কংগ্রেস প্রার্থী আজহার মল্লিকের বাড়ির কাছে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মীদের পোস্টার নজরে আসে। কংগ্রেস কর্মীবৃন্দদের নাম করে পোস্টারে লেখা, 'কংগ্রেস কর্মীদের বাদ দিয়ে কেন বামেদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করা হচ্ছে আজহার মল্লিক জবাব দাও'।
এছাড়াও কর্মীদের এআইসিসির টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে পোস্টারে। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্ব এই পোস্টার মারার পিছনে তৃণমূলকে দায়ী করেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উলুবেড়িয়ার (Uluberia Lok Sabha) বাণীবন এলাকায় যে বাড়িতে জোট প্রার্থী আজহার মল্লিক রয়েছেন সেই বহুতলের দেওয়ালে পোস্টারে মারা হয়েছে। এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, আজহারের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে শুরু করে প্রচারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিপিএমের নেতৃত্ব এবং সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের বেশি সংখ্যায় দেখা যাচ্ছে। হাত শিবির সূত্রে খবর, এনিয়ে কংগ্রেসের নিচুতলায় ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। এতদিন তা নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে কিছু না বললেও এবারে তা প্রকাশ্যে এল।
[আরও পড়ুন: তিন দিনে দ্বিতীয়বার, ফের লকেটের নামে নিখোঁজ পোস্টার পাণ্ডুয়ায়]
তবে বিষয়টিকে অস্বীকার করেছে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। হাওড়া জেলার কংগ্রেসের সভাপতি পলাশ ভাণ্ডারী বলেন, "এটা কে বা কারা করেছে জানি না। তবে তৃণমূল চক্রান্ত করে এই কাজ করতে পারে। আমাদের মধ্যে একটা লড়াই লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।" এর পালটা দিয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, "সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি সবকিছুতেই তৃণমূলের ভূত দেখে। এটা সর্বৈব ভিত্তিহীন। হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী সিপিএমের হাতে খুন হয়েছেন তা ভুলে গিয়ে তাদেরই হাত ধরেছে কংগ্রেস। অনেক নিষ্ঠাবান কংগ্রেস কর্মী তা নাও মেনে নিতে পারে।" যে পোস্টার নিয়ে বির্তক সকলে নজরে আসতে সেগুলো ছিঁড়ে দেওয়া হয়।