ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কোচবিহারের কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়া হলে আলিপুরদুয়ারে নয় কেন? দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সুর চড়িয়েছিল জেলা নেতৃত্বই। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি বদল করল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, প্রার্থী নিয়ে দাবিদাওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই তড়িঘড়ি এই পদক্ষেপ।
লোকসভা ভোটের রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে কংগ্রেস। আসন নিয়ে অলিখিত সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু পুরুলিয়া, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মতো কিছু আসন নিয়ে এখনও টানাবাহানা চলছে। এর অন্য়তম কারণ, সিপিএম ছাড়া অন্য় কোনও বাম শরিকের সঙ্গে রফা হয়নি কংগ্রেসের। জোট নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিআইয়ের মতো বাম দলগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। ফলে নিজেদের আসন ছাড়তে নারাজ বাম শরিকেরা। এ নিয়ে জট এখনও কাটেনি।
[আরও পড়ুন: দিলীপের ‘কুমন্তব্য’ নিয়ে জেলাশাসকের রিপোর্ট চাইল কমিশন, তৃণমূলের অভিযোগেই ব্যবস্থা]
পুরুলিয়ায় প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। পালটা প্রার্থী দিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকও। এর পর কোচবিহারেও ফরওয়ার্ড ব্লক-কংগ্রেসের জট পেকেছে। পুরুলিয়ার পালটা কোচবিহারে প্রার্থী দিয়েছে হাত শিবির। এর পরই দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কোচবিহারে কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়া হলে আলিপুরদুয়ারে নয় কেন? কারণ হিসেবে জেলা নেতৃত্বের দাবি ছিল, সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে কংগ্রেস। আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক বা সিপিআইয়ের সঙ্গে জোট হয়নি। আর আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী দিয়েছে আরএসপি। মিলি ওঁরাও প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়ার দাবি উঠেছে দলের অন্দরেই।
দাবি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন সভাপতি মনিকুমার দারনাল। সুর চড়িয়েছিলেন তৎকালীন কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দেবনাথ। এবার মনিকুমারকে সরিয়ে সেই শান্তনুকেই জেলা সভাপতি (আপাতত) করল কংগ্রেস। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রদেশ নেতৃত্ব।প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) মনোজ চক্রবর্তীর কথায়, “এটা দলের সিদ্ধান্ত।”