সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র সঙ্গে আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তুলনা। বিতর্কে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তাঁর দাবি, আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পিএফআইয়ের মতোই মৌলবাদী এবং উগ্র। তাই PFI-এর বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কর্ণাটক-সহ (Karnataka) দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যে PFI-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনএআইএ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফএআই) ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। এই অভিযানের নামে দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অক্টোপাস’। এমনকী দেশজুড়ে পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার কাজ শুরু হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: রবিবারই রাজস্থানের ‘পাইলট’ হিসাবে নির্বাচিত হবেন শচীন? কংগ্রেসের বৈঠক ঘিরে জল্পনা]
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষিতেই দিগ্বিজয় প্রশ্ন তুলেছেন, মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটির বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, যারা যারা দেশে সন্ত্রাস ছড়ায়, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরপরই তিনি বলে দেন,আরএসএস-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং পিএফআই ‘এক হি থালি কে চাট্টে বাট্টে।’ অর্থাৎ আরএসএস এবং পিএফআই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
[আরও পড়ুন: ‘গরিব হতে পারি, ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হব না’, যৌনতায় রাজি না হওয়ায় খুন উত্তরাখণ্ডের তরুণী]
প্রসঙ্গত, ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন পিএফআইয়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগেরও অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, এই পিএফআইয়ের মাধ্যমেই ভারতে জঙ্গি রিক্রুট করত আইসিস, জইশ, আল-কায়দা, লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা সংখ্যালঘু যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে শামিল হতে উৎসাহ দিত। এ হেন সংগঠনের সঙ্গে RSS-এর তুলনা হিন্দুত্ববাদীরা যে খুব একটা ভাল চোখে দেখবে না, সেটা বলে দেওয়াই যায়।