সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলে তাঁদের পরিচিতি বিদ্রোহী হিসেবে। শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠদের বিরাগভাজন হতে হয়েছে তাঁদের। প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা নিয়েই। অথচ, দলীয় তহবিলে বার্ষিক চাঁদার পরিমাণের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, এই তথাকথিত ‘বিদ্রোহী’ নেতারাই দলকে বেশি ভালবাসেন। দলের তথাকথিত বড় নেতাদের থেকে এই বিদ্রোহী নেতাদের দেওয়া চাঁদার পরিমাণ অনেক অনেক বেশি।
কংগ্রেসের দলীয় তহবিলে ব্যক্তিগত অনুদানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন কংগ্রেসের বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ কপিল সিব্বল (Kapil Sibbal)। তিনি একাই দলীয় তহবিলে দিয়েছেন ৩ কোটি টাকা। বিদ্রোহী শিবিরের আরেক নেতা তথা প্রাক্তন অভিনেতা রাজ বব্বর দিয়েছে ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা। বিদ্রোহী শিবিরেরই আরেক মুখ মিলিন্দ দেওরা দিয়েছেন ১ লক্ষ টাকা। অন্য বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad), শশী থারুর, আনন্দ শর্মারা দিয়েছেন ৫৪ হাজার টাকা করে। রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi) মাত্র ৫৪ হাজার টাকাই দিয়েছেন। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দিয়েছেন ৫০ হাজার। অধীর চৌধুরীও দিয়েছেন ৫৪ হাজার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সদ্য কংগ্রেস ছাড়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও কংগ্রেসের দলীয় তহবিলে ৫৪ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ২০১৯-২০ সালে।
[আরও পড়ুন: ফের লাভ জেহাদের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে, তরুণী ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে গ্রেপ্তার শিক্ষক]
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মোট প্রাপ্ত চাঁদার পরিমাণ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। তাতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের দলীয় তহবিলে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে মোট ৩৫২ জন মিলে ১৪৬ কোটি টাকা দান করেছেন। সবচেয়ে বেশি টাকা দান করেছে ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা। পরিমাণ ৩১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে আইটিসি। তারা দিয়েছে ১৩ কোটি টাকা। আইটিসি ইনফোটেক দিয়েছে ৪ কোটি টাকা। অনেকে বলছেন, কংগ্রেস দল যে চূড়ান্ত দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তার প্রমাণ এই অনুদানের মোট পরিমাণ। বিজেপি যেখানে বিভিন্ন শিল্পপতিদের কাছ থেকে শ’য়ে শ’য়ে কোটি টাকা ডোনেশেন পাচ্ছে, সেখানে কংগ্রেসের মোট অনুদানের পরিমাণ মাত্র ১৪৬ কোটি টাকা। এই অতি সামান্য মূলধন নিয়ে গোটা দেশের দল চালানো যে সহজ কাজ নয়, সেটা জানার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।