সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালকের সম্মতি থাকলেও আদালতের কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়, জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির জামিনের আরজি খারিজ করে এই কথা জানাল আদালত। প্রসঙ্গত, কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে ওই নাবালিকার মতে, স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল সে। এই বক্তব্যের উপর ভিত্তি করেই জামিনের আবেদন করেছিল অভিযুক্ত। তবে তা খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
২০১৯ সালের একটি ঘটনার ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির এক কিশোরী নিখোঁজ ছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ নাবালিকার বাবা। বেশ কিছুদিন তল্লাশি চালানোর পরে উত্তরপ্রদেশে এক ব্যক্তির সঙ্গে খুঁজে পাওয়া যায় ওই নাবালিকাকে। তার বাবার অভিযোগেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় অভিযুক্তকে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির এজেন্টদের মতো কাজ করছে পুলিশ, যোগীরাজ্যে উপনির্বাচনে অভিযোগ সপা-র]
কিন্তু ওই নাবালিকা দাবি করে, তার সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে ওই ব্যক্তি। বিবাহিত ওই ব্যক্তিকে নিজের প্রেমিক বলেও পরিচয় দিয়েছিল সে। তার সঙ্গেই সারাজীবন কাটাতে চায় বলে দাবি করে ওই নাবালিকা। তবে সমস্ত দাবি খতিয়ে দেখেও পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয় অভিযুক্তকে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে নাবালিকার আধার কার্ড পালটে দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। নাবালিকার জন্মসাল ২০০২ থেকে বদলে ২০০০ করতে চেয়েছিল সে। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, “১৬ বছরের নাবালিকা যদি সম্মতি দিয়ে থাকে, তাহলেও আদালতের কাছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনার অভিযুক্ত একজন সাবালক ও বিবাহিত। তাছাড়াও নাবালিকার বয়সের প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল সে। সব মিলিয়েই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করছে না আদালত।”