সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিওয়ালির পর থেকেই ফের দিল্লির বাতাসে মিশতে শুরু করেছে বিষ। অন্যান্য বছরের মতো এবারেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন। যার সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়ছে আম আদমির উপর। দিল্লি সরকার (Delhi Government) ইতিমধ্যেই রাজধানীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্মাণকাজের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত দিল্লি দূষণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে না আসছে ততদিন কোনওরকম নির্মাণকাজ করা যাবে না। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে নির্মাণকর্মীদের উপর। সেই সব নির্মাণকর্মীদের স্বস্তি দিতে এবার বড় ঘোষণা করল দিল্লির আপ সরকার।
বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ঘোষণা করেছেন, যতদিন না দিল্লিতে পুরোদমে নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে ততদিন নির্মাণকর্মীদের সরকারের তরফে মাসিক ৫ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। কেজরিওয়ালের এই ঘোষণায় রাজধানীর বহু নির্মাণকর্মী উপকৃত হবেন। আসলে দিল্লির শ্রমিক শ্রেণির একটি বড় অংশ নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরাও দিল্লিতে গিয়ে নির্মাণকর্মীর কাজ করেন। যদিও সেইসব পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই ঘোষণায় উপকৃত হবেন বলে দাবি কেজরিওয়ালের।
[আরও পড়ুন: গোবিন্দভোগ চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি কেন্দ্রের, প্রতিবাদে মোদিকে চিঠি মমতার]
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন এই নতুন ঘোষণায় উপকৃত হবেন প্রায় ১০ লক্ষ নির্মাণকর্মী। এই প্রকল্পে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি। এটাই অবশ্য প্রথমবার নয়। এর আগে গতবছরও একইভাবে নির্মাণকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। গতবছরও ৫ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হয়েছিল নির্মাণকর্মীদের। সেবারে উপকার পেয়েছিলেন ৭ লক্ষ নির্মাণকর্মী। যদিও এই ঘোষণার পর বিরোধীরা দিল্লি সরকারকে তোপ দাগছে। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, সঠিক পদ্ধতি মেনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করলে এই পরিস্থিতিই তৈরি হত না।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে বসার যোগ্যতামানে ফের ছাড়ের ঘোষণা, নয়া বিজ্ঞপ্তি পর্ষদের]
দিল্লি সরকার, অবশ্য এই দূষণের দায় চাপাচ্ছে কেন্দ্র সরকারের উপর। আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) দাবি, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকদের ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর জন্যই এই সমস্যা। কেন্দ্র যদি বৈজ্ঞানিক উপায়ে এই ফসল পোড়ানোয় কৃষকদের সাহায্য করত, তাহলে এই সমস্যা তৈরি হত না বলেই দাবি আপের। দিল্লি সরকার দূষণ নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার পরামর্শ দিচ্ছে। বাড়ির বাইরে বেরোতে হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।