শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পাহাড়ে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ এবং সিকিম। তিস্তা-সহ বাকি পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। সতর্ক প্রশাসন। ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে।
কলকাতার আকাশ এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার হলেও টানা বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। শুক্রবার থেকেই এই বৃষ্টি হচ্ছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গার নদী-জলাশয়ের জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। সিকিমেও লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। উত্তর সিকিমে যাওয়ার অনুমতি আর দেওয়া হচ্ছে না। ধসে পর্যটকদের একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে নিম্নমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় পজিটিভিটি রেট ৩% বেশি]
তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ৪১.২০ মিলিমিটার। সিকিম পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির জেরে রবিবার রাত থেকেই তিস্তার জলস্তর বাড়ছে। তাতে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়। সকাল আটটা পর্যন্ত ব্যারেজ থেকে ১৮২৯.৬৯ কিউমেক জল ছাড়ায় তিস্তা নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর।
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, মালদহে আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং ও আলিপুর দুয়ারে ১৩ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। তাতে পর্যটকদের বিপদে বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। পুজোর পরে এই সময়টায় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে বাঙালির। সেই মতো অনেকেই পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বলে খবর। একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই কাজে নেমে পড়েছে। বিপজ্জনক জায়গার খবরাখবর রাখা হচ্ছে, যাতে প্রয়োজনে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।