সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলদিয়ায় ঠিকাদারদের ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘তৃণমূল (TMC) করলে ঠিকাদারির পোষাক পরা চলবে না।’ আগামী হলদিয়া পুরভোটে কোনও ঠিকাদার প্রার্থী হবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হুঁশিয়ারি, যে সমস্ত ঠিকাদাররা অনুগামী পরিচয় দিয়ে শ্রমিকদের প্রাপ্য বঞ্চিত করেছে, তাদের শ্রীঘরে ঢোকানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। একইসঙ্গে শ্রমিকদের সঠির প্রাপ্য পাইয়ে দিতে নেতাদের পথে নামার নির্দেশও দিলেন তিনি।
একুশের বঙ্গ বিধানসভা ভোটের পর এই প্রথমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে পা রাখলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। হলদিয়া (Haldia) শিল্পতালুকের শ্রমিক সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেকে ‘শ্রমিকবন্ধু’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন অভিষেক। সেখান থেকে সাফ বার্তা, “আপনাদের যা সমস্যা তা সরাসরি আমাদের জানান। আমরা শুনব আপনাদের কথা।”
[আরও পড়ুন: ‘উনি অকৃতদার নন, অকৃতজ্ঞ’, শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের]
অভিযুক্ত ১৫-২০ জন ঠিকাদারকে উদ্দেশ্য অভিষেকের হুঁশিয়ারি, “যারা মনে করছেন অনুগামী সেজে শ্রমিকদের প্রাপ্য কেটে, তাঁদের মুখে গ্রাস কেড়ে নেবেন। শ্রমিকদের মাথার উপর ছড়ি ঘোরাবেন, তাঁদের উদ্দেশে এই মঞ্চ থেকে আমি হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। ১২ ঘণ্টা কাজ করিয়ে ৮ ঘণ্টার প্রাপ্য দেবেন, তা চলতে দেওয়া যাবে না। আমি এটা হতে দেব না।” দলের গুটিকয়েক ঠিকাদার নেতার উদ্দেশে তৃণমূল সাংসদের বার্তা, “যাঁরা মনে করছে, উপরে টাকা পৌঁছে দিতে হবে বলে শ্রমিকদের টাকা নয়ছয় করব, এটা চলবে না। ঠিকাদারিও করব আবার তৃণমূলও করব, সেটা চলবে না।” একইসঙ্গে স্থানীয়দের কাজে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
এর পরই অভিষেক শ্রমিকদের কাছ থেকে ১০০ দিন সময় চান। এই সময়ের মধ্যে যে চাটার্ড অফ ডিমান্ড তৈরি হবে, সেখানে কোনও ঠিকাদার থাকবে না বলে কথা দেন তিনি। একইসঙ্গে অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, দল বদল করে যারা তৃণমূলে এসেছেন তাঁরা হলদিয়া পুরসভা ভোটে টিকিট পাবেন না। কোনও ঠিকাদারও ভোটের টিকিট পাবে না। এদিনের সমাবেশের মঞ্চ থেকে শ্রমিক নেতাদের অভিষেকের বার্তা, শ্রমিকদের প্রাপ্য পাইয়ে দিতে রাস্তায় নামুন।