সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূমিপুত্র না হলেও জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ভোটাধিকার মিলবে। গত আগস্টেই ঐতিহাসিক ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্ত বৃহস্পতিবার রাতে জম্মুর জেলাশাসক এই বিতর্কিত নির্দেশকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গত কয়েক দিন ধরেই উপত্যকায় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ বাড়ছিল। অবশেষে পিছু হটল প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার জম্মুর ডেপটি কমিশনার নির্দেশ দেন, জম্মুতে এক বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন যাঁরা, তাঁদের ভোটার বলে গণ্য করা হবে। সমস্ত জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তহসিলদারদের বলা হয়, যাঁরা এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকছেন, তাঁদের সার্টিফিকেট ইস্যু করার জন্য। এরপরই বিতর্ক নয়া মোড় নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হল। প্রসঙ্গত, উপত্যকায় ভোটার তালিকা সংশোধন করতে হবে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: ফিরল তিন বছর আগের দুঃসহ স্মৃতি, মাঝরাতে ফের বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল]
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পরই ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এরপরই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় উপত্যকা। সেই সময়ের পর থেকে এবারই প্রথম নির্বাচনী সংশোধনের পথে হাঁটছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও যোগ্য ভোটারের যাতে তালিকার বাইরে না থাকেন, সেই কারণে এমন পদক্ষেপ। নির্দেশি আরও বলা হয়েছে আধার কার্ড, জল বা ইলেকট্রিকের বিল, গ্যাস সংযোগের নথি, ব্যাংকের পাসবই, পাসপোর্ট, জমির দলিল ইত্যাদিকে বসবাসের প্রমাণপত্র হিসেবে দাখিল করা যাবে।
এরপরই এই নির্দেশিকার তীব্র বিরোধিতা শুরু করে বিরোধীরা। ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’-এর তরফে টুইটারে লেখা হয়, ‘সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে ২৫ লক্ষ অ-স্থানীয় ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। বিজেপি নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। এবং ওরা জানে ওদের বিশ্রীভাবে হারতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ এই ষড়যন্ত্রের যোগ্য জবাব দেবে ব্যালট বাক্সে।’