নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটির দুর্লভপুরেই জন্ম। সেখান থেকে বড় হওয়া। বর্তমানে বিষ্ণুপুরের সাংসদ তিনি। সেই এলাকাতেই নাকি মাটির নিচে রয়েছে তাল তাল সোনা। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় মিলেছে তেমনই আভাস। যা দেখে গর্বিত সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বুধবার সোশাল মিডিয়ায় নিজেই জানিয়েছেন সেকথা। তিনি লেখেন, "আমার জন্মভূমি বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ছোট্ট গ্রাম দুর্লভপুর। শুধু বড় নেতা হলেও হয় না নিজের ব্লকে, নিজের গ্রামে কি আছে সেটাও সার্ভে করে জেনে নিতে হয়। আমি অনেকদিন আগে এটা সার্ভে করার জন্য দিয়েছিলাম আজ তার সাধ পেলাম। আজ সত্যিই গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে আমাদের এই দুর্লভপুর গ্রামে সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"
আবেগতাড়িত সাংসদ আরও লেখেন, "ভাবতেই অবাক লাগে! যে গ্রামে আমার শৈশব, স্মৃতি আর শিকড় - সেই গ্রাম আজ দেশের মানচিত্রে সম্ভাবনার নতুন আলো হয়ে উঠছে। ছোট্ট, শান্ত, মাটির গন্ধমাখা এই দুর্লভপুর আজ প্রমাণ করে দিল - গ্রামের পরিচয় শুধু সাধারণতায় সীমাবদ্ধ নয়, এখানেও লুকিয়ে থাকে অমূল্য সম্পদ, অপার সম্ভাবনা ও গৌরবের ইতিহাস। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি - এসবই মা সারদা ও বাবা ষাঁড়েশ্বরের আশীর্বাদ। তাঁদের কৃপায় আমার জন্মভূমি আজ সম্মানের আসনে, জাতীয় স্তরে স্বীকৃতির পথে।" তাঁর কথায়, "দুর্লভপুর শুধু আমার গ্রাম নয়, এ আমার অহংকার, আমার শিকড়, আমার আত্মপরিচয়। গর্ব হয় দুর্লভপুরের সন্তান হয়ে। গর্ব হয় গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের মানুষ হয়ে। গর্ব হয় বাঁকুড়া জেলায় সন্তান হয়ে।"
বলে রাখা ভালো, সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩টি, নদিয়ায় ১টি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট ৫টি খনন ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে ওএনজিসি। হিসেব অনুযায়ী, অশোকনগরের অয়েল ফিল্ড থেকে দিনে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত সোমবার রাজ্যসভায় এই বিষয়টি তোলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের চিঠি আদানপ্রদান হয়েছে। অশোকনগরে যে পরিমাণ তেল রয়েছে তার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। কবে থেকে তেল উত্তোলন শুরু হবে, তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বলা যাবে।
