অর্ণব আইচ: প্রমাণ লোপাটে তৈরি করা হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেখানেই চলছিল যাবতীয় আলোচনা। যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরী, দীপশেখর দত্ত ও মনোতোষ ঘোষকে আদালতে পেশ করে দাবি পুলিশের। এদিকে অত্যাচারের প্রমাণ মেলায় মামলায় যুক্ত করা হল ব়্যাগিংয়ের ধারা।
যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। একে একে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই তালিকায় রয়েছে মনোতোষ ঘোষ, দীপশেখর দত্ত ও সৌরভ চৌধুরী। এদিন আলিপুর আদালতে তোলা হয় তাদের। সেখানেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যাদবপুরের মৃত ছাত্রের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার স্পষ্ট। সেই কারণেই মামলায় ব়্যাগিংয়ের ধারা যুক্ত করার আরজি সাজানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। যদিও ধৃতদের দাবি, ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি: ‘শক্ত প্রমাণেই’ জীবন-মাত! তৃণমূল বিধায়কের জামিন খারিজ]
এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, এই ঘটনার পর একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছিল। তার তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আগেই। বাকি একজনের মোবাইল পুলিশের হাতে। তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকেই ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল কিছু তথ্য। তার মধ্যে রয়েছে, “সৌরভের মায়ের শরীর খারাপ, মাঝে মাঝে আসে।” এহেন একাধিক তথ্যের ভিত্তিতেই এগোচ্ছে তদন্ত। আদালতে বছর খানেক আগে লেখা দীপশেখর দত্তের একটি ডায়েরির কথাও জানানো হয়েছে। সেখানে নিজের সঙ্গে হওয়া ব়্যাগিংয়ের কথা লিখেছিল ওই ধৃত ছাত্র। প্রসঙ্গত, ধৃত সৌরভ চৌধুীকে ২৪ আগস্ট ও বাকি ২ জনকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।