স্টাফ রিপোর্টার: চব্বিশ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও ইস্টবেঙ্গল-কাস্টমস ম্যাচের ঘটনা থেমে যায়নি। ওয়াকওভারের গল্প এখনও চলছে। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা। কার জন্য, এটা হল? কী কারণে হল? এ সব কথা কেউ শুনতে চান না। তাঁদের বক্তব্য, লিগে কারোর সমস্যা হল না। ইস্টবেঙ্গলকেই শুধু ওয়াকওভার দিতে হল?
এ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কোয়েস সিইও সঞ্জিত সেন। বললেন, “আমার কাছে খবর, কাস্টমসের সঙ্গে ফুটবলারদের চুক্তি এক বছরের। ম্যাচ পিছিয়ে দিলে ওদের অসুবিধা হত না। আমাদের বাপারে ওঁরা অন্য পথে হাঁটল কেন? পুজোর পর কাস্টমসকে হারালে হারাতাম। না হলে নয়। আমাদের হাতে যখন ফুটবলার নেই, তখন কি করে আমরা খেলব?” তাঁর বক্তব্য আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সামনে আনতে তিনি বললেন, “ভেস্তে যাওয়া ম্যাচ একদিন পরেও দেওয়া যায়। সেখানে ১ অক্টোবরে ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়ে দিই ৩ অক্টোবর খেলতে হবে। সমস্যা কোথায়?”
আইএফএ সচিবের কথা শুনে সঞ্জিত সেন পালটা বললেন, “ম্যাচটা খেলব বলে আগেরদিন ভোর রাত পর্যন্ত থেকে ফুটবলারদের খোঁজ নিয়ে দল গড়ার চেষ্টা করি। আইএফএ সামান্য সাহায্য করল না।” “আইএফএ সচিবকে ইস্টবেঙ্গল নাকি জানিয়েছিল, অনূর্ধ্ব-১৮ দলের বেশ কিছু ফুটবলারকে রেজিষ্ট্রশন করাতে চায়। অনূর্ধ্ব-১৮ দল নিয়ে তারা শেষ ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল। আইএফএ সচিব জানিয়ে দেন, এমন নিয়ম নেই। সঞ্জিত সেন বলছেন, “আমরা সব কিছুতে হাত বাড়াব। ওরা হাত গুটিয়ে নেবে কেন? ভাঙা দল নিয়ে চার-পাঁচ গোল খেলে সমর্থকরা ছাড়ত? পুজোর পর পুরো দল নিয়ে খেলতে চেয়েছিলাম।”
[আরও পড়ুন: কল্যাণীতে দল নামাল না ইস্টবেঙ্গল, ঝুলেই রইল লিগের ভাগ্য!]
কিন্তু লিগ শেষ না করে কোচ আলেজান্দ্রো হঠাৎ ফুটবলারদের ছুটি দিতে গেলেন কেন? সঞ্জিত বললেন, “কোচ আগেই ঠিক করেছিলেন, ১ অক্টোবর থেকে ফুটবলারদের ছুটি। এটা পূর্ব নির্ধারিত।” কোয়েসের নানা অভিযোগের কথা আইএফএ সচিবকে বললে তিনি বলেন, “আমি চেয়েছিলাম, ইস্টবেঙ্গল খেলুক। ম্যাচের দিন সকালে সঞ্জিতকে অনুরোধও করি। বোঝাই, বাংলার ফুটবলের ভাল বিজ্ঞাপনের জন্য ইস্টবেঙ্গলের খেলা জরুরি। উনি শুনলেন না। উলটে বললেন, আমরা কেন কোয়েসের বদলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে সব ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছি? আমাদের কাছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সবার আগে। সঞ্জিত শুনতে চান না।’’
ম্যাচটা কী পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না? জয়দীপ বললেন, “কেন পিছিয়ে দেব? পুলিশের অনুমতি আছে। মাঠ আছে। তখন কেন খেলা পুজোর পর করব?’’ ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “আইএফএ-র থেকে শুনছি, ক্রীড়ামন্ত্রী ম্যাচটা করতে আগ্রহী ছিলেন। যদিও বিশ্বাস করি না। ক্রীড়ামন্ত্রী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিও যথেষ্ট সহানুভূতিশীল।” এদিকে স্পেন থেকে ফিরে ১৬ অক্টোবর কলকাতায় আই লিগের প্রস্তুতি শুরু করবেন আলেজান্দ্রো। আই লিগের প্রস্তুতি বিদেশে না হওয়ায় ভিন রাজ্যে গিয়ে কিছু প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে পারে ইস্টবেঙ্গল।
The post ইস্টবেঙ্গলের ওয়াকওভার নিয়ে বিতর্ক, IFA-কে কাঠগড়ায় তুলে বাঁচতে চাইছে কোয়েস appeared first on Sangbad Pratidin.