shono
Advertisement

মুখতারের হৃৎপিন্ডে হলুদ ছোপ, খুনের তত্ত্বে অনড় আত্মীয়-পরিজন

য়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুখতারের হৃৎপিণ্ডে একটি ‘হলুদ অংশ’ দেখা গিয়েছে।
Posted: 10:19 AM Apr 01, 2024Updated: 10:19 AM Apr 01, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির বিতর্কিত মৃত্যুকাণ্ডে আরও রহস্য বাড়াল হৃৎপি‌ণ্ডের একটি ‘হলুদ অংশ’। খাবারে বিষ মিশিয়ে ‘খুন’ করা হয়েছে মুখতার আনসারিকে, যোগী সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এই অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই আবারও সেই ‘বিষ প্রয়োগ করে খুনের’ তত্ত্ব নিয়ে সরব হল মুখতারের পরিবার।

Advertisement

কারণ, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুখতারের হৃৎপিণ্ডে একটি ‘হলুদ অংশ’ দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, রক্ত জমাট বাঁধার কারণেই তৈরি হয়েছে এই হলুদ অংশ। কতটা অংশ হলুদ হয়ে রয়েছে, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মুখতারের (Mukhtar Ansari) মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ মুখতার আনসারির পরিবার। তাঁদের সাফ কথা, যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের এই রিপোর্ট মানবেন না তাঁরা। মুখতারের মৃত্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরাও। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এক জন বিচারপতির নেতৃত্বে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি আমরা।’’

[আরও পড়ুন: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন, ফের গ্যাসের দাম কমাল কেন্দ্র]

গত মঙ্গলবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পাঁচ বারের বিধায়ক মুখতার আনসারি। সেই সময় গাজিপুরের সাংসদ, মুখতারের ভাই আফজল আনসারি অভিযোগ করেছিলেন যে, জেলে তাঁর দাদাকে বিষ দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে সাময়িক সুস্থ হলে মুখতারকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলে ফেরেন প্রাক্তন এই বিধায়ক। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপরই তাঁকে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই রাতে মৃত্যু হয় মুখতারের। আফজল বলেন, “সময় এলেই আমরা প্রমাণ দেব, কীভাবে বিষ প্রয়োগ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। অপরাধীদের বাঁচাতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে।’’ তাদের দাবি, মুখতারকে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করে খুন করা হয়েছে।

কিন্তু পরিবারের এই যুক্তি মানতে নারাজ জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কথায়, বিভিন্ন নথিতে বলা হয়েছে, মুখতার দীর্ঘ দিন ধরেই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়াও ত্বকের সমস্যা, ডায়াবেটিস ছিল তাঁর। পাশাপাশি, মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন মুখতার। কিন্তু নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল মুখতারের হৃৎপিণ্ডের একটি ‘হলুদ অংশ’। জেল সূত্রে খবর, রমজানের উপবাস ভঙ্গ করার পরেই মুখতারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। বান্দা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল কৌশল জানান, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর হৃদরোগে মৃত্যু হয় মুখতারের।

[আরও পড়ুন: ‘আমরা হেরেছি নাকি?’ মাহি ঝড়ে চেন্নাই ম্যাচের ফল ভুলে গেলেন সাক্ষী!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement