অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিধায়ক হলেও মন্ত্রিত্ব ফিরে পাননি কামারহাটির দাপুটে নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। শনিবার অর্থাৎ জন্মদিনে সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন তিনি। বললেন, “মন্ত্রিত্ব, ক্ষমতা সবটাই মিউজিক্যাল চেয়ার।”
১৯৫৪ সালের ৩ ডিসেম্বর জন্ম মদন মিত্রের। গতকাল অর্থাৎ শনিবার ৬৮তম জন্মদিন পালন করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো পাঞ্জাবিতে সেজে শনিবার কেট কাটলেন মদন মিত্র। সেখানেই আবেগঘন বক্তব্য রাখেন বিধায়ক। জানান, জন্মদিনের সকাল শুরুই হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফোনে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চিঠি নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেছেন নবান্নের এক আধিকারিক। এরপর ফের তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান পাঞ্জাবি পাঠানোর বিষয়টি। মদন মিত্রের কাছে এটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “মন্ত্রিত্ব, ক্ষমতা সবটাই মিউজিক্যাল চেয়ার। কিন্তু নামটা থেকে যাবে।” অর্থাৎ বুঝিয়ে দিলেন, ভালবাসা, আশীর্বাদ, এটাই সব। যদিও ওয়াকিবহল মহলের একাংশের দাবি, মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই একথা বলেছেন বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: ঋণ নিয়ে দালালকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি স্কুলের চাকরি! অবসাদে ‘আত্মঘাতী’ দাসপুরের যুবক]
এদিন ফের ওঠে ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষের প্রসঙ্গ। সেখানে পাগল-ছাগল মন্তব্যেক জবাবে গান শোনান মদন। প্রতিজ্ঞা করেন, “শিক্ষায়, গৌরবে, আভিজাত্যে সারা বংলার মানুষের কাছে পৌঁছবে কামারহাটি।” শুধু তাই নয়, কামারহাটির সর্বত্র শুধু তৃণমূলই থাকবে, সেই কথাও বলেন মদন মিত্র।
প্রসঙ্গত, মদন মিত্র মন্ত্রিত্ব না পাওয়া নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। মদন মিত্র কেন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন না, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও কখনও মদন মিত্রের গলার সুরে মনে হয়েছে তিনি ক্ষুব্ধ। তবে বরাবরই তিনি দাবি করেছেন, ‘মদন মিত্র দিদির সৈনিক’।