অর্ণব আইচ: রক্ষকই ভক্ষক! খাস কলকাতায় (Kolkata) বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরীকে যৌন নিগ্রহ! আর এই অভিযোগে শনিবার ধৃত কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল। খাস কলকাতার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে উলটোডাঙা এলাকায় মায়ের সঙ্গে অটোয় চেপেছিল বিশেষভাবে সক্ষম ওই কিশোরী। সেই অটোরই যাত্রী ছিলেন অভিযুক্ত। অটোর পিছনের আসনে বামদিকে মেয়েটির মা, মাঝে কিশোরী এবং ডানদিকে বসেছিল অভিযুক্ত। ফোনে কথা বলছিলেন মেয়েটির মা। তখনই মাকে ডেকে ইঙ্গিতে জানায়, তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করছে পাশে বসা যুবক। মেয়ের কাছে অভিযোগ পেয়েই চিৎকার করে ওঠেন মহিলা। চালককে থানায় নিয়ে যেতে বলেন।
[আরও পড়ুন: সেতুতে বিরাট ফাটল, আগামী কয়েক দিন বন্ধ দক্ষিণ কলকাতার এই গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুল]
চালক সঙ্গে সঙ্গে উলটোডাঙা থানায় নিয়ে যান অটো। সেখানকার পুলিশ কর্মীরা জানান, এটা মানিকতলার থানার ঘটনা। পুলিশই তাঁদের অন্য থানায় নিয়ে যায়। এবং অভিযুক্ত দেবু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত কনস্টেবল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় (POCSO) মামলা করা হয়েছে। পুলিশ কর্মীর এমন আচরণে হতবাক সকলে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে। কোথাও গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার সরাসরি গণপরিবহণে মূক ও বধির কিশোরীকে যৌননিগ্রহের অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। মধ্য কলকাতার (Central Kolkata) পোস্তা থানা এলাকায় বাড়ির ভিতরেই ধর্ষণের শিকার বিশেষভাবে সক্ষম মহিলা। মহিলার দাদা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বিহার থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্তকে।
[আরও পড়ুন: সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান, এলাকায় তুমুল বিক্ষোভ]
অভিযোগ, তালা দেওয়ার পর তার চাবি রঘুনাথ মণ্ডল নামে প্রতিবেশী এক প্রৌঢ়কে দিয়ে যান ওই ব্যক্তি। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তালা খুলে ঘরের ভিতরে ঢোকে রঘুনাথ। বিশেষভাবে সক্ষম ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে তালা বন্ধ করে রেখে যায়। কাজের শেষে বাড়ি ফেরেন মহিলার দাদা। দাদাকে দেখেই কাঁদতে শুরু করেন ৪২ বছরের মহিলা। আকার, ইঙ্গিতে দাদাকে বিষয়টি বোঝান তিনি।