সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের গুরুদ্বারে গুলিবৃষ্টি ‘নিহঙ্গ’ শিখদের। হামলায় নিহত এক পুলিশকর্মী। আহত কমপক্ষে তিন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর মোতাবেক, এখনও গুরুদ্বারের ভিতরে অন্তত ৩০ জন নিহঙ্গ ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে।
বরাবরই যোদ্ধাজাতি বা ‘ওয়ারিওর ক্ল্যান’ হিসাবে পরিচিত শিখ সম্প্রদায়। তাদের মধ্যে আবার নিহঙ্গদের রণসজ্জা ও যুদ্ধং দেহী মেজাজ জগৎখ্যাত। লম্বা ঝুলের নীল জোব্বা, বিশাল পাগড়ি (দস্তর বুঙ্গা) এবং চক্রম, তলোয়ারের মতো হাতিয়ার ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত এরা। বৃহস্পতিবার কপুরথলার একটি গুরুদ্বারে কার্যত তাণ্ডব শুরু করে এহেন নিহঙ্গদের দুই গোষ্ঠী। ধর্মস্থানটির দখল নিয়ে নিজেদের মধ্যেই লড়াইয়ে জড়ায় তারা। শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। হামলায় এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত কমপক্ষে তিন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মোদিকে ‘অপয়া’ বলে বিপাকে রাহুল, নির্বাচন কমিশনে নালিশ বিজেপির]
বলে রাখা ভালো, অতীতেও বহুবার নিহঙ্গদের সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে পুলিশের। ২০২০ সালে পাতিয়ালা সবজি বাজারে এক পাঞ্জাব পুলিশের এএসআই হরজিৎ সিংয়ের হাত কেটে নেয় নিহঙ্গরা। বাকি পুলিশকর্মীরা তখন হামলাকারীদের থামাতে গেলে তাঁরাও আহত হন।
[আরও পড়ুন: জি-২০ সামিটে ডিপফেক উদ্বেগ মোদির, কৃত্রিম মেধায় ‘বিপদ’ দেখছেন প্রধানমন্ত্রী?]
উল্লেখ্য, ‘নিহঙ্গ’ ফার্সি শব্দ। বাংলা তর্জমায় যার অর্থ কুমির৷ মুঘলদের কথায়, নিহঙ্গরা কুমিরের মতো হিংস্রভাবে লড়াই করে। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, নিহঙ্গদের উদ্ভব হয় ফতেহ সিংয়ের হাত ধরে। অনেকেই আবার বলেন, শিখ গুরু হরগোবিন্দের শুরু করা ‘আকালি’ থেকেই নিহঙ্গদের উৎপত্তি।