দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর:: দু’দিন লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার কুলতলি কাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দার। পুলিশের জালে পড়েছে তার এক সঙ্গীও বলে খবর।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বাণীরধল এলাকার একটি আলাঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাদ্দামকে। পাশাপাশি ওই ভেড়ির মালিক তথা কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হল। আজই সাদ্দামকে আদালতে হাজির করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কুলতলির জালাবেরিয়া-২ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সাদ্দমের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গত সোমবার সাদ্দামের বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সাদ্দামকে ধরে ফেলে তারা। এর পরেই বাড়ি এবং আশেপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। এই সুযোগে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় সাদ্দাম এবং সাইরুল। অভিযুক্তের বাড়ির খাটের নিচে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। সেখান দিয়েই সাদ্দাম পালিয়ে যায়। পুলিশ আসলে যাতে খবর পেয়েই দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে তার জন্য বাড়ির খাটের নিচেতে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল সাদ্দাম। সুড়ঙ্গটির মুখ পার্শ্ববর্তী একটি খালে।
[আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তা দেখে ‘দাবাং’ কীর্তি, স্টোনচিপ তুলে ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে ঢোকালেন সাংসদ!]
উল্লেখ্য, কুলতলির জালাবেরিয়া-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন চলছিল নকল সোনার কারবার। শুধু নকল সোনা নয়, সোনার মূর্তি চুরি করে এনে এখান থেকে বিক্রিও করা হতো। কখনও কখনও মানুষকে ফাঁদে ফেলে মূর্তি বিক্রির নামে সর্বস্বান্ত করা হতো ক্রেতাদের। শুধু তাই নয় এর আগেও এক ব্যক্তিকে খুন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এইসব মূর্তি চোর দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা। এসব কাণ্ডকারখানার নেপথ্যে সাদামের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ।