অর্ণব আইচ: অভিনব পদ্ধতিতে ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে অবশেষে গ্রেপ্তার কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ বিনোদ। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করেন লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এর আগেই এই ঘটনাতেই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সিআইটি রোডের শাখার মাধ্যমে এই জালিয়াতির কারবার রমরমিয়ে চলছিল। রীতিমতো ছক কষে টাকা আত্মসাৎ করত জালিয়াতরা। ব্যাংকে দু’জন অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। সেই অ্যাকাউন্টেই সমস্ত টাকা এসে জমা হত। পরে তা তুলে নেওয়া হত। আর এই গ্যাংয়ের সঙ্গেই যুক্ত ছিল শেখ বিনোদ। অন্তত ৪৫ লক্ষ টাকার জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কীভাবে হত এই পুরো জালিয়াতি?
[আরও পড়ুন: ক্রিকেট থেকে দূরে সরছেন ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ টিম পেইন, নতুন ক্যাপ্টেন বেছে নিল অস্ট্রেলিয়া]
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেরই আউটসোর্স কর্মী। তার সাহায্যেই গোটা বিষয়টি হত। ব্যাংকের আধিকারিকদের আইডি ও পাসওয়ার্ডের সাহায্যে নাকি প্রথমে সাধারণ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের মোবাইল নম্বর ও ই-মেল নম্বর পালটে দেওয়া হত। যাতে সেখানে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য না যেতে পারে। তা হয়ে গেলেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে তা দুই জালিয়াতের অ্যাকাউন্টে ফেলে দেওয়া হত। পরে সেই টাকা তুলে নিয়ে আরও দুই জালিয়াতের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই এই ব্যাংক জালিয়াতির কারবার চলছিল। দিন কয়েক আগে বিষয়টি ব্যাংকের এক গ্রাহকের নজরে আসে। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে অ্যান্টি ব্যাংক ফ্রড শাখার অফিসাররা। তাতেই এই জালিয়াতির পর্দা ফাঁস হয়। প্রথমে চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখনই পুলিশের সন্দেহ ছিল, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িয়ে থাকতে পারে। সেই খোঁজ পেতে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করা হয়। পুলিশের জালে আসে মোট ১১ জন। এবার গ্রেপ্তার করা হল শেখ বিনোদকে। এর আগেও কল সেন্টারের নামে অনলাইন প্রতারণা-সহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় নাম ছিল শেখ বিনোদের।