সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদে নাবালিকা গণধর্ষণে (Hyderabad Minor Rape) ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের সাবালক হিসাবে বিচারের আরজির কথা বলেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে যাতে দ্রুত ‘কঠোরতম’ শাস্তি পায়, সেই জন্যই আদালত তাদের সাবালক হিসেবে দেখুক, চায় পুলিশ। সোমবার ওই জঘন্যতম অপরাধের তদন্তে নতুন কথা জানাল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, পূর্বপরিকল্পিত ছিল অপরাধ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বিষয়ে নিশ্চিত তাঁরা।
গত ২৮ মে সংঘটিত অপরাধের যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করেও একথা মনে হয়েছে পুলিশের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, চার নাবালক-সহ পাঁচ অভিযুক্ত রীতিমতো পরিকল্পনা করে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করেছিল সেদিন। এমনকী নিজেদের সুরক্ষার জন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে ছিল কন্ডোম। আমরা তল্লাশি চালিয়ে দেখছি, কোথা থেকে ওই কন্ডোমগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: রাহুল-সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কার হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে কলকাতার নামও, অভিযোগে সরব BJP]
আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের বেশকিছু কল রেকর্ড সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ওই কল রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। উল্লেখ্য, শনিবার পাঁচ অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এখন সেই রিপোর্টের জন্যও অপেক্ষা করছে হায়দরাবাদ পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ অধিকারিক জানান, অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে নির্যাতিতা ভদ্র ও বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের হওয়ায় তারা সুযোগ নেয়। ওই অধিকারিকের কথায়, “কার প্ররোচনায় কে প্রথম ধর্ষণ করেছিল, এর থেকেও বড় কথা সকলেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল সেদিন।”
[আরও পড়ুন: রাহুল-সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কার হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে কলকাতার নামও, অভিযোগে সরব BJP]
প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদের (Hyderabad) পুলিশ কমিশনার সি ভি আনন্দ জানিয়েছেন, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাবে পুলিশ। স্থানীয় ডিসিপি ডি জোয়েল ডেভিস জানিয়েছেন, ”আপাতত আমরা ঘটনার প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছি। চার্জশিট জমা করার পরেই আবেদন জানাব, যেন অভিযুক্তদের সাবালক হিসাবে বিচার করা হয়।” হায়দরাবাদে এর আগেও নাবালক অভিযুক্তকে সাবালক হিসাবে বিচার করার নজির রয়েছে। ১৭ বছর বয়সি এক নাবালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, দোষী প্রমাণিত হলেও সর্বোচ্চ তিন বছর জেল হতে পারে এক নাবালকের।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট (Juvenile Justice Act) সংশোধন করে বলা হয়, জঘন্য অপরাধ করলে ১৬ বছর বয়সিদেরও সাবালক হিসাবে বিচার করতে পারে আদালত।