সুব্রত বিশ্বাস: হওয়ার কথা ছিল বড়লোকের পোষ্য। কিন্তু জায়গা হল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। দু’একটি নয়, ত্রিশটি পাইথনের ঠিকানা এমন বদলে যাওয়ার কারণ, নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় পাচারকারী-সহ পাইথনগুলি।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে উলটপুরাণ, বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন]
শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার বি ভি চন্দ্রশেখর জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে অসম থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল সাপগুলিকে। শিয়ালদহ স্টেশনে পুলিশি তল্লাশিতে ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৩৩টি পাইথন। ব্যাগে দীর্ঘক্ষণ থাকায় মারা যায় তিনটি সাপ। ৩০টি জীবিত থাকায় সেগুলিকে আলিপুর চিড়িয়াখানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাচারকারী খিদিরপুরের বাসিন্দা সুলতানকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের নির্দেশে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচার চক্রের সন্ধান শুরু করেছে রেল পুলিশ। আইসি নাসিম আখতার জানিয়েছেন, ট্রেকিং ব্যাগে বালিশের খোলের মধ্যে দু’তিনটি করে এক একটিতে রেখে সাপগুলিকে আনা হচ্ছিল। বাচ্চা সাপগুলি দু’ফুট আড়াই ফুট। কাঞ্চনজঙ্ঘা শিয়ালদহ আসার পর সন্দেহজনক পাচারকারীকে ধরে ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে সাপ। ভয় পেয়ে যান যাত্রীরা।
বন দপ্তরের কর্মীদের ধারণা, অসম বা উত্তরবঙ্গের জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে সেগুলিকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল। পাইথন পাঁচ, ছ’ফুট লম্বা হয়। আর্থিক সঙ্গতিপূর্ণ মানুষদের অনেকেই বাড়িতে অজগর পোষেন। দেশে ও বিদেশে চাহিদা থাকায় এই নিষিদ্ধ প্রাণী পাচার করা হয়। বিক্রি হয় মোটা দামে। সাপগুলিকে কলকাতা হয়ে কোথায় পাচার করার কথা ছিল। কারা এই পাচারে যুক্ত তা জানতে রেল পুলিশ ধৃত সুলতানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এই পাচার চক্রের সন্ধান মিলবে বলে পুলিশের পক্ষে আশা করা হয়েছে।