ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যবাসীকে বিনা খরচায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভোটের পরই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ৫ লক্ষ কোভিড টিকার বরাত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেইমতো বরাতও দেওয়া হয়েছিল সংস্থাগুলিকে। এর পরই রবিবার সকালে রাজ্যে এসে পৌঁছল ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিন (Covaxine)।
এদিন সকাল পৌনে আটটা নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে কলকাতায় আসে কোভিড টিকা। সেখান থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় পৌঁছে যায় বাগবাজার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে। আজই এই ভ্যাকসিন কলকাতা-সহ সব জেলার সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। যার জেরে রাজ্যজুড়ে বাড়তে থাকা টিকার সংকট বেশকিছুটা কাটবে। কোষাগার থেকে মোটা অংকের অর্থ খরচ করে এই ভ্যাকসিন কিনল রাজ্য। কোভিশিল্ডের প্রতি ভায়ালের দাম ৪০০ টাকা আর কোভ্যাক্সিনের প্রতি ভায়ালের দাম ৬০০ টাকা ধার্য হয় রাজ্যগুলির জন্য। গড়ে ভায়াল পিছু ৫০০ টাকা দামে কোভ্যাক্সিন কিনল রাজ্য।
[আরও পড়ুন: চুল্লির রক্ষণাবেক্ষণে জোর, আগামী ৪৮ ঘণ্টা নিমতলায় শুধুমাত্র করোনায় মৃতদের সৎকার]
মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে বরাত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক এবং সেরাম ইনস্টিটিউটকে চিঠি লেখেন স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেই চিঠিতে জানান, রাজ্যে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে ৫ লক্ষ কোভিড টিকা মজুত করার পরও অন্যান্য টিকা রাখার যথেষ্ট জায়গা থাকবে। তাছাড়া রাজ্য ইতিমধ্যে কোল্ড চেন তৈরি করে ফেলেছে। যার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাতারাতি টিকা পৌঁছে দেওয়া যাবে। এর পরই এদিন রাজ্যে এসে পৌঁছল লক্ষাধিক কোভ্যাক্সিন। এর ফলে একদিকে যেমন যাঁরা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন কিন্তু দ্বিতীয় টিকা পাবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন, তাঁদের দুশ্চিন্তা কাটল। তেমনই আবার বহু মানুষ টিকার প্রথম ডোজও পাবেন। ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য আরও খানিকটা এগিয়ে যাবে বলেই আশা প্রশাসনিক কর্তাদের।