সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রথম দিকে পুরুলিয়া করোনামুক্ত থাকলেও শেষরক্ষা হয়নি। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে সেখানও থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। এক বিয়েবাড়ি থেকে সংক্রমিত হয়েছেন একাধিক জন। এতেই আতঙ্ক বেড়েছে বহুগুণ। আর সেই ভয় থেকেই অমানবিকতার নজির গড়েছে পুরুলিয়া। এক শ্রমিক দীর্ঘক্ষণ অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকলেও তাঁর কাছে এগিয়ে গেল না কেউ।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুরুলিয়ার যে ৪ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে তাঁদের মধ্যে তিনজনই সংক্রমিত হয়েছে বিয়েবাড়ি থেকে। যার ফলে বেড়েছে সংক্রমণের আতঙ্ক। কারণ, ওই বিয়েবাড়িতে আরও বহু মানুষের সমাগম হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে পুরুলিয়াবাসীর অমানবিকতা।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত রাইফেল ফ্যাক্টরির ৩২ জন কর্মী, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বাড়ছে ক্ষোভ]
ঠিক কী হয়েছে? রবিবার সকালে দিনমজুরের কাজ করতে গিয়ে শহর পুরুলিয়ার পি.এন. ঘোষ স্ট্রিট এলাকায় আচমকা পড়ে যান বছর আটত্রিশের এক যুবক। এক ঘণ্টারও বেশি সময় উপুড় হয়ে পড়ে থাকেন রাস্তাতেই। কিন্তু তাঁকে উদ্ধার করা তো দূর অস্ত, পাশ দিয়ে হেঁটে, সাইকেলে, বাইকে চলে গেলেন শহরের বহু বাসিন্দা। এমনকী পথচলতি অনেকেই তাঁর ছবিও তুললেন। কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি কেউই। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় পর ঘটনাস্থলে যান পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ কর্মীরা। বস্তা, ত্রিপল দিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যান দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, সেখানকার ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে জানান। এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন বলেন, “মৃতের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী যা যা পদক্ষেপ করা দরকার তা করা হচ্ছে।” এই অমানবিকতার ঘটনায় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করেছে।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: ‘একটা ফোনেই পুজোয় উপোস করা মেয়েটা ধর্ম পালটে জঙ্গি’, প্রজ্ঞার কার্যকলাপে স্তম্ভিত মা]
The post করোনার ‘হটস্পট’ বিয়েবাড়ি! সংক্রমিত অনেকে, জানাজানি হতেই আতঙ্কে কাঁটা পুরুলিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.