সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় ঢেউ পুরোপুরি আছড়ে পড়ার আগে দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফে উত্থান-পতন অব্যাহত। বৃহস্পতিবারের তুলনায় ফের অনেকটাই কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা. দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus)আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫,৩৪২ জন, বৃহস্পতিবারও এই সংখ্যা ছিল ৪১ হাজারের বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮৩ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলমুক্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৪০ জন। এই মুহূর্তে দেশের মোট অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৫১৩।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বুধবার থেকে শুক্রবার, এই দু’দিনে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বুধবার সংক্রমণ বেড়েছিল হু হু করে, মৃত্যুর হার প্রায় ১০ গুণ বেশি ছিল মঙ্গলবারের তুলনায়। আর শুক্রবার আক্রান্ত ও মৃত্যু – দুটোই নেমে এল অনেকটা। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৩ কোটি ১২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬২। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭৯ জন। আগস্টের শুরুতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আরও কমানোই লক্ষ্য।
[আরও পড়ুন: বদ্রিনাথ মন্দিরে ইদের নমাজ পড়ার অভিযোগ VHP ও বজরং দলের, গুজব বলে জানাল পুলিশ]
এদিকে, দেশে ইতিমধ্য়ে ৪২ কোটি ৩৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৩০ জনের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের সমীক্ষা বলছে, এই টিকাদানের হারে সবচেয়ে এগিয়ে কলকাতা। সেখানে ইতিমধ্য়েই ৬২ শতাংশ নাগরিককে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে পিছিয়ে রাজধানী দিল্লি। পিছিয়ে অন্যান্য মেট্রো শহরগুলিও। আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা তৃতীয় ঢেউ দাপট দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। আর এই সময়ের মধ্যে টিকাকরণ আরও দ্রুতগতিতে না করলে করোনা যুদ্ধে ফের পিছিয়ে পড়তে পারে ভারত। তাই স্বাস্থ্যমহলের পরামর্শ, টিকাকরণের হার আরও বাড়ানো হোক।