সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় ঢেউয়ের আগে ফের দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। সামান্য কমল মৃত্যুর হার। ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের দৌলতেই এই পরিস্থিতি বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে স্বাস্থ্যমহল। এই ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মহিলার মৃত্যুর খবর মিলেছে মধ্যপ্রদেশ থেকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৯ জন, বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের একটু বেশি। একদিনে করোনার বলি ১৩২১। একই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮৮৫ জন। সুস্থতার হার ৯৬ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ কোটি ১৬ লক্ষ ২৬ হাজার ২৮।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট বলছে, দেশে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৭। মৃতের মোট সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৯১। ভয়াবহ হচ্ছে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। এই প্রজাতির ভাইরাস আরও মারাত্মক আকার নিয়ে আছড়ে পড়ছে বিশ্বে। ভারতেও (India) বাড়ছে ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তের সংখ্যা। উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের মহিলার মৃ্ত্যু। তিনি ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনে সংক্রমিত ছিলেন বলে খবর। এছাড়া ব্রাজিলেও গামা স্ট্রেনের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে করোনার নানা প্রজাতিই সংক্রামক হয়ে উঠেছে।
[আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, এই ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনায় জোর]
এই অবস্থায় টিকাকরণে আরও জোরই কোভিডের বিরুদ্ধে বড়সড় যুদ্ধাস্ত্র হতে পারে। তবে বুধবার দেশে টিকাকরণের দৈনিক হার হু হু করে নেমে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল আমজনতার কপালে। বৃহস্পতিবার অবশ্য তা খানিকটা বেড়েছে। বুধবার যা ছিল ৫৪ হাজারের বেশি, বৃহস্পতিবার তা হয়ে উঠেছে ৬৪ হাজারের বেশি। তবে টিকাকরণ আরও দ্রুতগতিতে না এগোলে চলতি বছরের মধ্যে দেশবাসীর ভ্যাকসিনেশন (Corona vaccination) সম্পূর্ণ করার যে লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্র নিয়েছে, তা পূরণ করা সম্ভব নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।