টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মহিলাকে করোনা টিকার (Corona vaccine) পরপর ২টি ডোজ দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা। ভোরবেলা তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করাতে হয়। এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়ায়। শুক্রবার পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে এমনই বিপত্তির মুখে পড়লেন মন্দিরা পাল নামে এক মহিলা। টিকাদানে স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্ববোধ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
শুক্রবার বড়জোড়ার পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টিকা নিতে যান মন্দিরা পাল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ওইদিন থেকেই ১২ বছর বয়সি শিশুদের মায়েদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। সেই খবর পেয়ে টিকা নিতে যান দুই সন্তানের জননী মন্দিরাদেবী। কোলে ছিল ৯ মাস বয়সের ছোট সন্তান। আধার নম্বর নথিভুক্ত করে টিকাকরণ কেন্দ্রের ভিতরে যান মন্দিরাদেবী। জানা গিয়েছে, সেখানে তাঁকে প্রথমে টিকা দেন এক নার্স। এরপর তাঁকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়। অপেক্ষারত অবস্থায় আরেকজন নার্স এসে মন্দিরাদেবীকে আরেকটি টিকা দিয়ে যান। অর্থাৎ পরপর দু’বার তাঁকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা থাকলেও রিপোর্ট নেগেটিভ! রাজ্যে ৪০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রেই ঘটছে এমন, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা]
কিন্তু দ্বিতীয় নার্স যখন ফের তাঁকে ইঞ্জেকশন দেন, তখন কেন বাধা দিলেন না মন্দিরাদেবী? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলছেন, ”লাইনে দাঁড়ানোর সময় শুনেছিলাম, ২টো টিকা নিতে হবে। তাই দ্বিতীয়বার টিকা দেওয়ার সময় বাধা দিইনি। বাইরে বেরিয়ে শুনি, ২টি টিকাই নিতে হবে, তবে তা প্রথমবারের বেশ কয়েকদিন পর। একদিনে পরপর নয়।”
[আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনি, যুবকের মৃত্যুতে উত্তাল মালদহ]
এরপর চিন্তিত হয়ে মন্দিরাদেবী বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু শনিবার ভোর থেকে তাঁর শরীর খারাপ হতে শুরু করে। বমি, গা-হাত-পায়ে ব্যথা হয়। মন্দিরাদেবীর স্বামী স্থানীয় বিধায়ককে (MLA) ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। সব শুনে তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় আর কোনও ঝুঁকি নেননি। তিনি নিজেই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন। ভোর ৪টে নাগাদ মহিলাকে বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। যদিও আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। করোনা টিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের এই গাফিলতির জন্য শোকজ করা হতে পারে বলে খবর।