সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে কোভিডের (Covid-19) থাবা। মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দেশের সব প্রান্তকেই কমবেশি ছুঁয়ে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে? কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন? করোনা রোধের আয়ুর্বেদিক উপায় কী? বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সবটাই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক (Ayush Ministry)। এই গাইডলাইনগুলি মূলত সেই সব রোগীদের জন্য যাদের শরীরে করোনার উপসর্গ নেই বা থাকলেও সামান্য।
প্রথম ঢেউ থেকে তৃতীয় ঢেউ পর্যন্ত বারবার চরিত্র বদলেছে করোনা। একসময়ের আলফা স্ট্রেন আজ পরিণত হয়েছে ওমিক্রনে (Omicron)। স্বাভাবিকভাবেই বদলাচ্ছে চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই বুধবার করোনা প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার একটি সংশোধিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে আয়ুশ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক বলছে, করোনা থেকে বাঁচার সবচেয়ে উপযোগী উপায় হল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা, অনাক্রম্যতা বাড়ানো। সেজন্য বেশ কয়েকটি টোটকা দিয়েছে আয়ুশ মন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: দেশে একদিনে করোনার কবলে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার, আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক মোদির]
আয়ুশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা:
করোনা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে হবে ‘আয়ুরক্ষা কিট’ (Ayuraksha kit)। এটি বেশ কয়েকরকমের ওষধি গুণ সম্পন্ন খাবারের সংমিশ্রণ।
প্রতিদিন ৬ গ্রাম চ্যবনপ্রাশ খান।
আয়ুশ ক্কাথ,সমশানি বুটি, অনু তেল ব্যবহার করুন।
নিয়মিত হার্বাল টি খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক।
দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দিনে দু’বার খাওয়ার পর গুডুচি ঘান বুটি এবং ৫০০ মিলিগ্রাম অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট নিন।
নিয়মিত নাসারন্ধ্রে তিলের তেল, নারকেল তেল দিতে হবে।
অন্তত ২-৩ মিনিট ১ চামচ তিল তেল নিয়ে তেল-কুলি করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শুকনো সর্দিকাশি বা গলার সংক্রমণ হলে তাজা পুদিনাপাতা, জোয়ান এবং আদা দিয়ে তৈরি মিশ্রণে স্টিম নিতে হবে।
চিনি, গোলমরিচ, শুকনো আদা, কিশমিশ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
ডায়েটে গুড়, লেবুর রস এবং হলুদ মেশানো দুধ অপরিহার্য।
[আরও পড়ুন: অবসর শিবনের, নতুন চেয়ারম্যান পাচ্ছে ISRO]
মৃদু উপসর্গ যুক্ত এবং উপসর্গহীন রোগীদের দিনে দু’বার আয়ুশ ৬৪ (৫০০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেট নিতে বলা হচ্ছে।
কাবাসুর কুদিনির ওষুধও দিনে দু’বার গরম জলে ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এসবের পাশাপাশি আয়ুশমন্ত্রক সমস্ত করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে। মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।