সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ত্রস্ত দেশ। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে এবার বেসরকারি অফিসেও খোলা হবে ভ্যাকসিনেশন সেন্টার। সূত্রের খবর, কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, যে সমস্ত বেসরকারি অফিসে একশোর বেশি কর্মী কাজ করেন, সেগুলিতে তৈরি করা হবে টিকাকরণ কেন্দ্র। এবং সেই অফিসের কর্মীদের টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরসভা এলাকায় যে সমস্ত অফিসে একশোর বেশি কর্মী কাজ করেন, সেই অফিসগুলিতে ভ্যাকসিন সেন্টার গড়ে তোলার দায়ভার থাকবে জেলাশাসকের হাতে। শহরে এই দায়িত্ব নিতে হবে মিউনিসিপ্যালিটির আধিকারিকদের। এই অফিসগুলি দেখভাল করার দায়িত্বও জেলাশাসক এবং মিউনিসিপ্যালিটির আধিকারিকদেরই। আসলে, টিকাকরণকেই এই মুহূর্তে করোনা রোখার একমাত্র উপায় হিসেবে দেখছে কেন্দ্র। কিন্তু মুশকিল হল, শুধুমাত্র গুজরাট এবং ছত্তিশগড় ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য কেন্দ্রের টিকাকরণের (Vaccination) অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত দেশে টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ৮ কোটি ৭০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৭৪ জনের। দেশের ২০ শতাংশ মানুষকে দ্রুত টিকাকরণের আওতায় আনতে চায় কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, সরকারের হাতে এখনও যথেষ্ট টিকা মজুত আছে। ভ্যাকসিনের কোনও সংকট নেই। কিন্তু টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনীহা এবং পরিকাঠামোর অভাবই টিকাকরণ কম হওয়াই আসল সমস্যার কারণ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র পরিকাঠামো আরও বাড়াতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই বেসরকারি অফিসে টিকা দেওয়ার ভাবনা।
[আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি এবং করোনার কাঁটা, রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল RBI]
প্রসঙ্গত, বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন।এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রের সেটা বলাই বাহুল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত ৫৫ হাজারেরও বেশি। মহারাষ্ট্র ছাড়াও পাঞ্জাব, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিও রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৮ লক্ষ ১ হাজার ৭৮৫ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৭৩ জন।