ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বঙ্গে ভোটপর্বের শেষদিকে করোনায় আক্রান্ত একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এবার মারণ ভাইরাসের কবলে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডা. শান্তনু সেন (Santanu Sen)। বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভরতি হয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। অক্সিজেন চলছে।পাশাপাশি, তাঁর বাবাও কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভরতি হাসপাতালে। এই পরিস্থিতির জন্য মোদি সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে (ECI) দায়ী করলেন শান্তনু সেন। টুইট করে তাঁর বক্তব্য, বঙ্গে এত দফা ভোটের জন্য তিনি ও তাঁর বাবার এই পরিস্থিতি। ‘ভগবান কোনওদিন ক্ষমা করবে না’, টুইটে এও লিখেছেন তৃণমূল সাংসদ।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের। করোনার (Coronavirus) পরীক্ষা করানোর পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁর বাবার রিপোর্টও পজিটিভ আসে। এরপর বুধবার আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন শান্তনু সেন। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অক্সিজেন চলছে তাঁর। এই অবস্থায় মোদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিঁধে টুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। লিখেছেন, ”নরেন্দ্র মোদি এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ, আমাকে আজ এই জায়গায় এনে ফেলার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নেতৃত্বে এতদিন কোভিড যুদ্ধে শামিল হয়েও সুস্থ ছিলাম। কিন্তু আপনাদের এই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর ভোটের দফায় আমার এবং আমার বাবার এই অবস্থা। আমাদের পরিবারও ঝুঁকির মধ্যে। ভগবান আপনাদের ক্ষমা করবে না।”
[আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে ঘিরে বিক্ষোভ-মারধর! ভোটে অগ্নিগর্ভ মানিকতলা]
এরপর বেলা বাড়তে তিনি আরেকটি টুইট করেন। তাতে লেখেন, ”মোদি-শাহর নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন আমাকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে এখানে ভরতি হতে বাধ্য করেছে। তবে ইভিএমে প্রতিবাদ জানানো থেকে আমাকে বিরত করতে পারবেন না তাঁরা।” এরপর কাশীপুর-বেলগাছিয়ার ভোটার হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে কোন বুথে ভোট দিতে যাবেন, তাও উল্লেখ করেন শান্তনু সেন। কোভিড বিধি মেনে বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর ভোট দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের কথাও উল্লেখ করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ। তবে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার জন্য কমিশন ও কেন্দ্র সরকারকে যেভাবে দুষেছেন, তা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।