সুকুমার সরকার, ঢাকা: বৃহস্পতিবার করোনার প্রকোপে ১০ জনের প্রাণ গিয়েছে ও প্রায় ৩০০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরপরই পুরো বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বলে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের তরফে বলা হচ্ছে, ক্রমশ করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। দেশে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এক চিকিৎসক-সহ ৬০ জন মারা গিয়েছেন।
এদিকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (IEDCR) চারজন টেকনোলজিস্ট, একজন ক্লিনার ও এক কর্মচারী-সহ মোট ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে চারজন মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছ’জনের শরীরে করোনা পজিটিভ আসার পর প্রতিদিন সংবাদ ব্রিফিং দেওয়া আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরারও করোনা পরীক্ষা করান। এমনকী পরীক্ষায় সেব্রিনা ফ্লোরার করোনা নেগেটিভ আসার পরও তিনি ১৪ দিনের স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৫৭২, একদিনে মৃত ১০ ]
এরপরই পুরো বাংলাদেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে, সংক্রমণ প্রতিরোধে তিনটি নির্দেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমগ্র বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, যেহেতু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকার নিয়েছে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। লক্ষাধিক লোক মারাও গিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। হাঁচি, কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এর সংক্রমণ ঘটে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বে এই রোগের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী, এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হল একে অপরের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা। এই কারণে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে গোটা বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলে। এছাড়া তিনটি নির্দেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে- (১) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনগণকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। (২) এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হল। (৩) সন্ধে ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। এই নির্দেশ না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘দলবাজি নয়, প্রকৃত অসহায়কে ত্রাণ পৌঁছে দিন’, প্রশাসনকে নির্দেশ শেখ হাসিনার]
The post একদিনে ১০ জনের মৃত্যুর জের, জরুরি অবস্থা বাংলাদেশে appeared first on Sangbad Pratidin.