সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহের শেষেই দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম। আগামী এক মাস নানা উৎসব উদযাপন করবেন দেশবাসী। করোনা আবহে সেসব পালন নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারিও হয়েছে। তবে এসবের মধ্যেই দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফে বড়সড় পতন, যা বেশ আশাব্যঞ্জক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৭৯৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৮০ জনের। আর একদিনে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২৬ হাজার ৭১৮ জন।
সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা করোনা সংক্রমণ, মৃত্যু অনেকটা কমে গিয়েছে। কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগী ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৪৫৮। মারণ ভাইরাসের বলি দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৯৭ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ২১ হাজার ২৪৭ জন। চলতি সপ্তাহের শেষ, আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই দেশে উৎসবেকর মরশুম শুরু হয়ে যাবে পুরোদমে। গত বছরের মতো এবারও মেনে চলতেই হবে কঠোর করোনাবিধি। কিন্তু তার আগে দেশের কোভি গ্রাফের এই পতন কিছুটা আশ্বস্ত করেছে স্বাস্থ্যমহলকে।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ি! মৃত অন্তত ২ ]
তৃতীয় ঢেউ রুখতে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে করোনা রোগীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি টিককরণেও জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট ৯০ কোটি ২৭ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৬১ জন। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত নাগরিকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যপূরণ করতেই দ্রুতগতিতে কাজ এগোচ্ছে। এই হারে প্রতিদিন টিকাকরণ হলে অচিরেই দেশবাসীকে সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের লক্ষ্যমাত্রায় খুব দ্রুতই পৌঁছন যাবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: মিকা থেকে আরিয়ান, বহু তারকাকেই ধরেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে, কে এই ‘দাবাং’ অফিসার?]
এদিকে, করোনা সংক্রমণ সামান্য কমতেই সতর্কতা অবলম্বন করে আজ থেকে স্কুলগুলি খুলে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজধানী মু্ম্বইতেও অষ্টমী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা স্কুলে গিয়েই করছে পড়ুয়ারা। দীর্ঘ প্রায় একবছর পর সোমবার তারা স্কুলে যাওয়ার পর তাদের ফুল, মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়ে স্বাগত জানান প্রিন্সিপাল। মনে করিয়ে দেন, ক্লাসরুমে নিজেদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে তবেই যেন বসা হয়।