সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের মতো মারণ ক্ষমতা না থাকলেও করোনা ভাইরাস এখনও বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO যেদিন এই বার্তা দিল, সেদিনই খানিকটা হলেও স্বস্তি দিল দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। একধাক্কায় অনেকটা কমে গেল সংক্রমণ। সেই সঙ্গে কমেছে অ্যাকটিভ কেসও।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫৩৩ জন। একদিনে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে। উদ্বেগজনক বিষয় হল, দেশের দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট দুটোই এখনও যথেষ্ট বেশি। বর্তমানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ৮৫২।
[আরও পড়ুন: ‘হুজুর, ওটা ফলস কেস! এবার CBI মামলায় আমায় জামিন দিয়ে দিন’, কাতর আরজি অনুব্রতর]
তবে সার্বিকভাবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ জন। এর মধ্যে অবশ্য ১৬ জনের মৃত্যুর পুরনো হিসাব পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছে। এই ১৬ জন বাদ দিলেও ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮। আগের ২৪ ঘণ্টাতেও দেশে মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। অর্থাৎ স্রেফ দু’দিনে মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।
[আরও পড়ুন: ‘হুজুর, ওটা ফলস কেস! এবার CBI মামলায় আমায় জামিন দিয়ে দিন’, কাতর আরজি অনুব্রতর]
এ তো গেল দেশের কথা। WHO বলছে, করোনার নতুন XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট আসার পর গোটা বিশ্বের ছবিটাই উদ্বেগের। স্রেফ গত চার সপ্তাহে গোটা বিশ্বে ১৪ হাজার জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। WHO মেনে নিয়েছে, চলতি বছর সার্বিকভাবে করোনায় মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। কিন্তু নতুন ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আগামী দিনেও সেটা বাড়বে। তাই পিছিয়ে পড়া দেশগুলির এখন থেকেই প্রস্তুত হওয়া উচিত।