shono
Advertisement

দুয়ারে ভ্যাকসিন, পাহাড় ডিঙিয়ে বক্সায় করোনা টিকা নিয়ে গেলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক

এভাবে ঘরের কাছে ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন।
Posted: 08:02 PM Jun 20, 2021Updated: 08:23 PM Jun 20, 2021

রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: দুয়ারে সব পরিষেবা। চলতি বছরের প্রায় গোড়া থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প বড়সড় সাফল্যের সাক্ষী। ফলে করোনাকালে দুয়ারে দুয়ারে করোনা টিকাও (Corona Vaccine) পৌঁছে যাবে – সেটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা। আর সেটাই পূরণ করে দিলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলাশাসক। চড়াই-উতরাই ভেঙে বক্সা পাহাড় চূড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে করোনার টিকা নিয়ে গেলেন ডিএম সুরেন্দ্র কুমার মীনা নিজেই। বুঝিয়ে দিলেন, পথ যতই দুর্গম থাকুক, দুয়ারে নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজে সরকার পিছপা নয় এতটুকুও।

Advertisement

প্রায় ১২ কিলোমিটার পাহাড় ডিঙিয়ে শনিবার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৬০০ ফুটের বেশি উঁচুতে বক্সা পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর চালু করলেন দুয়ারে ভ্যাকসিন পরিষেবা। শনিবার হাতে স্টিক, পায়ে স্পোর্টস শু, পরনে ট্রাউজারস আর লাল-সাদা-কালো স্ট্রাইপ গেঞ্জি পরে পিঠে ব্যাগ নিয়ে প্রায় সাতটি ছোট পাহাড় ও ঝোরা ডিঙিয়ে বক্সা পাহাড়ের চূড়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে দুয়ারে ভ্যাকসিন দিতে যান জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা। তাঁর সঙ্গে এদিন ছিলেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন ও কালচিনি ব্লকের রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ববি লামা ও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা। এদিন পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাস্কও (Mask)বিলি করেন জেলাশাসক ও বিডিও। পাহড়ের গ্রামে বসেই টিকা পেয়ে খুশি পাহাড়িরা।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে নিম্নমুখী মৃত্যু, দৈনিক করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা]

জানা গিয়েছে, বক্সা পাহাড় চূড়ায় আদমা, শেওগাও, পানবাড়ি ও তুড়িবাড়ি – এই চারটি গ্রাম রয়েছে। এই চার গ্রামে মোট ১৩০ টি পরিবার রয়েছে। এই চার গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৭৫০ জন। এই গ্রামগুলোতে পৌঁছনোর কোন পাকা রাস্তা নেই। পাহাড় ডিঙিয়ে এই গ্রামগুলোয় পৌঁছতে হয়। বক্সা পাহাড়ের শেষ গাড়ি পৌঁছনোর পরও প্রায় ১২ কিলোমিটার পাহাড় পেরিয়ে এই গ্রামগুলোতে পৌঁছতে হয়। সেই কারণে টিকা পেয়ে খুশি এই গ্রামের মানুষেরা। মূলত ডুকপা সমাজের লোকেরাই এখানে বসবাস করেন। স্থানীয় বাসিন্দা দোরজি শেরপা ডুকপা বলেন, “পাহাড়ি এই গ্রামগুলো থেকে বাইরে গিয়ে টিকা নেওয়া খুবই কষ্টের। সেই কারণে জেলাশাসক নিজে টিকা নিয়ে এই পাহাড় চূড়ায় পৌঁছেছেন দেখে আমরা অভিভূত। খুব খুশি। জেলাশাসককে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই আমাদের।”

[আরও পড়ুন: ধারাবাহিকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা-গয়না চুরি! পুলিশের জালে ইংরাজিতে MA পাশ যুবক

এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ববি লামা। তাঁর কথায়, “টিকা নিয়ে এই এলাকার মানুষদের মধ্যে ভয় রয়েছে। সেই ভয় কাটিয়েও এই প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামগুলোতে দারুণ সাড়া পাচ্ছি। গ্রামের অনেক বাড়িতেই টিকা দেওয়া হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা বলেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সবসময় বলেন, মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে। রাজ্য সরকার দুয়ারে ভ্যাকসিন পরিষেবা চালু করেছে। আমরা সেই কর্মসূচি নিয়ে পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছেছি। এখানে টিকা নিয়ে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement