সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: শিক্ষক নিয়োগ, পুরসভায় দুর্নীতি পর ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগের কিনারা করতে মরিয়া ইডি (ED)। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তেড়েফুঁড়ে তল্লাশিতে নামলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর, হুগলির ধনেখালি, কলকাতার সল্টলেকে (Salt Lake) একযোগে হানা দিয়েছেন তদন্তকারী দল। এর মধ্যে এক WBCS অফিসারের বাড়িতেও তল্লাশি চলে বলে ইডি সূত্রে খবর।
পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বিষয় এবং ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। পঞ্চায়েত (Panchayat) কর্মী রথীন দে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বে ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। রথীন দে নওদার পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নওদা ও বেলডাঙার বিডিও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দোষী প্রমাণিত হতেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আগে জেল খেটেছেন তিনি। বর্তমানে সাসপেন্ডেড রথীন দে।তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড় সমান প্রমাণ রয়েছে। ফের পঞ্চায়েত দুর্নীতি থেকে একশো দিনের দুর্নীতি কাণ্ডে বহরমপুরের (Baharampur) বিষ্ণুপুরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডির দল।
[আরও পড়ুন: ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস, বাবাকে দেখতে বাড়ি ফিরছেন হ্যারি]
অন্যদিকে, হুগলির ধনেখালিতেও (Dhanekhali) ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাতে অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল এক প্রাক্তন বিডিও এস কে পানের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সল্টলেকের বিদ্যাসাগর নিকেতনে ওই প্রাক্তন WBCS অফিসারের বাড়িতে ইডি তদন্তকারীরা তল্লাশি চালিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। দুই জায়গাতেই ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
[আরও পড়ুন: ‘মেডিক্যালি আনফিট’ কালীঘাটের কাকু, হাই কোর্টকে জানাল SSKM]
এছাড়া একই অভিযোগ চুঁচুড়ার ময়নাডাঙায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তারীরা। তবে ভুল ঠিকানায় যাওয়ায় তা নিয়ে বিভ্রান্তি হয়। পরে ভুল বুঝে ইডি আধিকারিকরা সেখান থেকে ফিরে যান।