সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে সরব রূপান্তরকামীরা। ব়্যাপের মধ্যে দিয়েই তাঁরা উগরে দিলেন তাঁদের ক্ষোভ। গানের নাম ‘হাট শালা’। এদেশে রূপান্তরকামীদের করা প্রথম ব়্যাপ গানের রেকর্ড গড়লেন তিন রূপান্তরকামী- মধু, সরিতা এবং নন্দিনী। এদের সঙ্গে গলা মেলালেন আরসিআর নামে এক ব়্যাপার। ‘হাট শালা’ গানের মাধ্যমে তাঁরা তুলে ধরেছেন তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার কথা। গানের কথায় কথায় বিঁধেছেন এদেশের রাজনৈতিক কাঠামো, শাসনতন্ত্র এবং সরকারকে। সোচ্চার হয়েছেন। চলতি লোকসভা ভোটের মাঝে এই ভিডিও দেশের সর্বস্তরের মানুষের ক্ষোভের আগুনে যে ঘৃতাহুতি দেওয়ার মতোই, মনে করছে সমাজের একাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় রাজনীতিতে মহিলারা গিনিপিগ’, বিতর্কিত মন্তব্য নাগমার]
মাস যায়, বছর যায়, পরিবর্তন আসে দিল্লির মসনদে, কিন্তু রয়ে যায় তাঁদের সমস্যা। সেই একইভাবে দিনাতীত করতে হয় তাঁদের। নেই রোজগার, নেই ঠিকঠাক মাথার উপর ছাদ, রোজকার অন্নসংস্থানের ক্ষেত্রেও তাঁদের পোড়াতে হয় বহু কাঠখড়। এসব ক্ষোভই মধু, সরিতা, নন্দিনীরা উগরে দিয়েছেন তাঁদের ব়্যাপের মাধ্যমে। শুধু তাঁদের কথাই নয়। দেশে বাড়তে থাকা বেকারত্ব, দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম, মহিলাদের সমস্যার দিকে আলোকপাত করেই তৈরি ‘হাট শালা’ ব়্যাপ।
[আরও পড়ুন: প্রার্থীপদে ফের চমক, বিজেপির হয়ে ভোটের ময়দানে বিখ্যাত এই গায়ক]
রোজ শোনানো হয় গুচ্ছখানেক প্রকল্পের উপর প্রকল্পের কথা। সব রাজনৈতিক দলেরই এক অবস্থা। কেউই প্রতিশ্রতি মাফিক কাজ করে না। কিন্তু সেসব প্রতিশ্রুতির কোনও বাস্তবায়ন নেই। ‘হাট শালা, ছি শালা, থু শালা…’ গানের কথাতেই তুলোধোনা করেছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এবং শাসনব্যবস্থাকে। মধু, সরিতা, নন্দিনী এই তিন রূপান্তরকামী আদতে ওড়িশার বালাঙ্গির গ্রামের বাসিন্দা। গানের কথাতেও মিলেছে আঞ্চলিক ভাষার ছোঁয়া। অপরদিকে দেখা গিয়েছে আরসিআর নামে মিলেনিয়াল এক ব়্যাপারকে। যিনি কি না সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ছেলেমেয়েদের কথা তুলে ধরেছেন তাঁর গানের ভাষায়। ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানেৈর জন্য তাঁকেও সম্মুখীন হতে হয় সেই একই সমস্যার। ফুল বিক্রেতা, ফলের রস বিক্রেতা থেকে চাওয়ালা সবারই এক অবস্থা। ‘কোত্থেকে আসবে রোজগার?’-সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে এই ব়্যাপের মাধ্যমে। এই গান এবং ভিডিও শঙ্খজিৎ নামে জনৈক ব্যক্তির মস্তিকপ্রসূত।
The post প্রতিশ্রুতিই সার, না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে ব়্যাপ রূপান্তরকামীদের appeared first on Sangbad Pratidin.