অর্ণব আইচ: আর্থিক অনটনের জের। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার এক যুবক ও তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের দেহ। বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার গড়িয়ার (Garia) ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁরা। মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোট থানায় ই-মেল করেন যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গড়িয়ার ব্রহ্মপুর মোড়ের একটি আবাসনে ফ্ল্যাটে থাকতেন ঋষিকেশ পাল নামে এক যুবক। তাঁর প্রেমিকা রিয়া সরকার। স্থানীয়দের দাবি, লিভ ইন করতেন তাঁরা। ওই যুগলের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারায় পরিবারের তরফে খবর দেওয়া হয় বাঁশদ্রোণী থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও হদিশ মেলেনি কারও। এরপর ফ্ল্যাটের চাবি জোগাড় করে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। দেখা যায়, বিছানায় পড়ে রয়েছে যুগলের দেহ। পাশেই দেখা যায় ওষুধের ফাঁকা স্ট্রিপ। দেহদুটি উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা যুগলকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
[আরও পড়ুন: সিল করা সসের বোতলে গিজগিজ করছে জীবাণু, কলকাতা পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]
দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। কী লেখা ছিল তাতে? পুলিশের দাবি তাতে লেখা ছিল, ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নিয়েছিলেন তাঁরা। একটি সমস্যার কারণে তা ছেড়ে দিতে হয় যুগলকে। যার ফলে প্রবল আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ঘুমের ওষুধ খেয়েই আত্মঘাতী হয়েছে ঋষিকেশ ও রিয়া। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ থেকে শুরু করে সম্পর্কের রসায়ন সবটাই খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মৃতদের পরিবার ও পরিজনদের।