দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পানের বরজে পাম্প চালিয়ে জল দেওয়ার সময় শর্ট সার্কিট। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মত্যু হল দম্পতির। মৃতদের নাম চিত্তরঞ্জন মাইতি (৪৫) ও প্রতিমা মাইতি (৩৮)। বাবা মা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন দেখে তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছেলে কালীপদ মাইতি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থানার লক্ষ্মী-জর্নাদনপুর এলাকায়।

[ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা যুবকের, বালুরঘাটে চাঞ্চল্য]
জানা গিয়েছে, লক্ষ্মী-জর্নাদনপুরের গোটা এলাকার প্রধান অর্থকরী ফসল পান। এদিন সকালে সেই পানের বরজেই কাজ করছিলেন মাইতি দম্পতি। পাম্প চালিয়ে বরজে জল দেওয়ার কাজ চলছিল। কোনওভাবে বরজ লাগোয়া লোহার কাঁটাতার শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। কাজ করতে করতে তা বুঝতেই পারেননি চিত্তরঞ্জনবাবু। হাঁপিয়ে যাওয়ার কারণে ওই কাঁটাতার ধরে বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করতে যান। সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই ব্যক্তি। এদিকে অনেkক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে স্বামীর খুঁজতে এসে চমকে যান প্রতিমাদেবী। তিনিও স্বামীকে ছাড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বাবা-মাকে এভাবে দেখে চেঁচামেচি শুরু করেন ছেলে কালীপদ। ততক্ষণে আশপাশ থেকে অনেকেই ছুটে এসেছেন। কোনওকিছু না ভেবে ছেলেও বাবা মাকে ছাড়াতে চেষ্টা করেন। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ততক্ষণে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান মাইতি দম্পতির ছেলে। অন্যদিকে মাঠেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আহত কালীপদকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়েছে। জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
[ক্লাস নেন না অধ্যাপকরা, স্টাফরুমে তালাবন্দি করে রেখে ‘শাস্তি’ অধ্যক্ষার]
The post পাথরপ্রতিমায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দম্পতির, বাঁচাতে গিয়ে আহত ছেলে appeared first on Sangbad Pratidin.