shono
Advertisement

Breaking News

কৃষ্ণ জন্মভূমি থেকে মসজিদ সরানোর মামলা গৃহীত মথুরা আদালতে

সকল পক্ষকে নভেম্বরের ১৮ তারিখ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Posted: 09:33 AM Oct 17, 2020Updated: 09:33 AM Oct 17, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণ ‘জন্মভূমি পুনরুদ্ধার’ সংক্রান্ত মামলা গৃহীত মথুরা আদালতে। শহরে প্রভু শ্রীকৃষ্ণের ‘জন্মভূমি’র কাছে অবস্থিত একটি মসজিদ সরানোর দাবি জানিয়ে করা মামলাটির শুনানি শুরু হবে এবার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কেউ গুলি চালাবে না’, কাশ্মীরে জঙ্গির আত্মসমর্পণের নাটকীয় ভিডিও প্রকাশ করল সেনা]

জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই মামলাটি গ্রহণ করেন মথুরার ডিস্ট্রিক্ট ও সেশন জজ সাধন ঠাকুর। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মসজিদ সরানোর দাবি জানিয়ে করা মামলাটি খারিজ করে দেন নিম্ন আদালত। এদিকে, এই মামলায় শাহী দরগা মসজিদ ট্রাস্ট ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড-সহ সকল পক্ষকে নভেম্বরের ১৮ তারিখ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

মথুরার দেওয়ানি আদালতে এবার শিশু কৃষ্ণ বা শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমনের হয়ে মথুরার কৃষ্ণ মন্দির চত্বর থেকে শাহী দরগা সরানোর দাবিতে প্রভু শ্রীকৃষ্ণের ‘বন্ধু’ হিসেবে মামলাটি দায়ের করেছেন উত্তরপ্রদেশে বাসিন্দা রঞ্জন অগ্নিহোত্রি। মামলায় মন্দির চত্বরের থাকা দরগার ১৩.৩৭ একর জমি খালি করানোর দাবি করা হয়েছে। মমলকারীর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও শাহী দরগার ম্যানেজমেন্ট ট্রাস্ট স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম বাসিন্দার মদতে অবৈধভাবে ওই জমি দখল করে রেখেছে। শধু তাই নয়, নিজের অভিযোগে মামলাকারী রঞ্জন অগ্নিহোত্রি অভিযোগ করেছেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের উপরই মুসলিম ধর্মস্থলটি রয়েছে। মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান জমি হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে শাহী দরগা ট্রাস্টের সঙ্গে অবৈধভাবে সমঝোতা করেছে।

উল্লেখ্য, আধ্যাত্মিক শহর মথুরাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির। হিন্দুদের বিশ্বাস, ওই জায়গাটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। সেই মন্দির চত্বরেই রয়েছে শাহি ঈদগাহ মসজিদ। ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, প্রাচীন কেশবনাথ মন্দির ভেঙেই মসজিদটি তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব। ১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই সত্ব বর্তায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি ট্রাস্টের হাতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। অবশেষে ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে জমির মালিকানা হিন্দুদের হাতে থাকলেও মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার পায় মুসলিম পক্ষ।

[আরও পড়ুন: ‘আমার বুক চিরে দেখুন, মোদিজিকে পাবেন’, নিজেকে ভক্ত ‘হনুমান’ ঘোষণা চিরাগ পাসোয়ানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement