shono
Advertisement

‘বিরোধীদের জোর ধাক্কা দিয়েছে আদালত’, CBI-ED মামলা খারিজ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ মোদির

ফের 'দুর্নীতি' ও 'পরিবারতন্ত্র' নিয়ে সরব মোদি।
Posted: 04:41 PM Apr 08, 2023Updated: 06:32 PM Apr 08, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) অপব্যবহারের অভিযোগে ১৪টি বিরোধী দলের করা মামলা খারিজ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, রাজনীতিবিদদের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ণ সম্ভব না। শীর্ষ আদালতের বিরোধীদের দাবি ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে শনিবার তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তিনি বলেন, মামলা খারিজ করে আদালত জোর ‘ধাক্কা’ দিয়েছে বিরোধীদের।

Advertisement

বর্তমানে তেলেঙ্গানা সফরে রয়েছেন মোদি। সেখানে ১১, ৩০০ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এছাড়াও সেকন্দ্রাবাদ-তিরুপতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এরপরই দক্ষিণের রাজ্যে একটি সভায় মোদি বলেন, “কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল, যাতে কেউ তাদের দুর্নীতির খোঁজখবর না করতে পারে। তারা আদালতে গিয়েছিল বটে, কিন্তু আদালত তাদের জোর ধাক্কা দিয়েছে।” নিজের বক্তব্যে ‘দুর্নীতি’ এবং ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: কামড়ে ক্ষতবিক্ষত খুদের শরীর, ছত্তিশগড়ে পথকুকুরের হামলায় মৃত্যু ৫ বছরের শিশুকন্যার!]

সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে বিরোধীদের কণ্ঠরোধে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ১৪টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। যৌথ আবেদনে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা চেয়েছিল তারা। ১৪ বিরোধী দলকে নেতৃত্ব দেয় কংগ্রেস (Congress)। সঙ্গে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), ডিএমকে, আরজেডি, বিআরএস-সহ বিজেপি বিরোধী প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দল।

[আরও পড়ুন: ব্যবহৃত হয় সেলফোন থেকে এয়ারক্র্যাফট নির্মাণে, এবার দেশেই মিলল ১৫ ধরনের দুর্লভ খনিজের সন্ধান]

শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে, তাঁদের শতকরা ৯৫ জন বিরোধী দলের। এটা স্পষ্টত বিরোধীদের কণ্ঠরোধ। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, তারা কোনও তদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চান না। কিন্তু যেভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, সেটা নিয়েও আদালতের কিছু করা উচিত। অন্তত নেতাদের গ্রেপ্তারি নিয়ে নতুন গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদন গ্রহণ করেনি শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজনীতিবিদদের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। তবে নির্দিষ্ট কোনও মামলা বা বিশেষ ক্ষেত্রে অভিযোগ থাকলে, সেটা আদালতের বিচারাধীন হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement