অর্ণব আইচ: কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলের চার্জশিট নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের ব্যাখ্যা তলব করল আদালত। সিবিআইকে সতর্ক করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দিলেন বিচারক।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। ওই চার্জশিটে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের অভিযুক্ত হিসাবে না দেখিয়ে সাক্ষী হিসাবে দেখানোয় সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। মঙ্গলবার ওই মামলার নথি নিয়ে মামলার তদন্তকারী আধিকারিককে আসতে বলেন বিচারক। এদিন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক নির্দেশ দেন, কেন অভিযুক্তদের সাক্ষী হিসাবে দেখানো হল, মামলার তদন্তকারী আধিকারিককে আগামী ২ জুন নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে রিপোর্ট আকারে তা জানাতে হবে।
[আরও পড়ুন: দমন-পীড়ন নয়, আলোচনার মধ্যে দিয়ে কুড়মিদের সমস্যা মেটানোর বার্তা পার্থর]
বিচারক মন্তব্য করেন, ‘‘ব্যাখ্যা যদি সন্তোষজনক না হয়, তাহলে আমি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করব ও হাই কোর্টকেও জানাব। কারণ, হাই কোর্টের নজরদারিতে এর তদন্ত চলছে।’’ আদালতের নির্দেশের কপি সিবিআইয়ের ডিরেক্টর ও ডিআইজিকে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে, আদালত সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানির জন্য সোমবার আদালতের কাছে আবেদন জানান কুন্তল ঘোষ।
এদিন গ্রুপ সি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাইসার প্রাক্তন কর্তা নীলাদ্রি দাসকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আবেদনে জানান, তাঁকে প্রথম চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে দেখানোর পরও পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি অতিরিক্ত চার্জশিটে তাঁকে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো বেআইনিও বটে। প্রথম থেকে নীলাদ্রি তথ্য দিয়ে সিবিআইকে সাহায্য করেন। এসএসসি নাইসার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন। নীলাদ্রি নিজে কোনও টাকা পাননি। বিচারক সিবিআইয়ের গ্রুপ সি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ও সিবিআইয়ের আইনজীবীকে সতর্ক করে বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আপনারা আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারেন। তা এড়াতে যেটা করার প্রয়োজন এখন থেকেই করুন। এই গ্রেপ্তারির আগে তদন্তকারী আধিকারিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, নীলাদ্রি ওএমআর শিট ও মেধা তালিকা বিকৃত করেছেন। অভিযুক্তর আইনজীবী জানান, এই কাজ করা নীলাদ্রি দাসের পক্ষে সম্ভবই ছিল না।