অর্ণব আইচ: সারদা মামলায় ইডির চার্জশিট গ্রহণ করল না আদালত। ইডির আধিকারিক ও আইনজীবীদের আদালত তীব্র ভৎর্সনা করে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত।
আদালতের প্রশ্ন, "১১ বছর পর হঠাৎ কেন এই চার্জশিট দিচ্ছেন? এতদিন কী করছিলেন? আপনি এমন একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছেন তিনি পেশায় ট্যাক্স কনসালট্যান্ট। ক্লায়েন্টের থেকে ফিস নিতে পারেন! কী করে তিনি এই দুর্নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত? আমাকে দেখান। কোনও আইনজীবী যদি কারও হয়ে মামলা লড়েন, তাহলে তিনি সুবিধাভোগী?
মনে হচ্ছে আপনার ভূমিকা ঠিক নয়। আমি এখন কগনিজেন্স নেব না। আগে দেখবো। আমাকে তথ্য দিয়ে সন্তুষ্ট করবেন। তার পর কগনিজেন্স নেব। এবং প্রয়োজনে তাঁকে নোটিস দিয়ে ডাকব।"
[আরও পড়ুন: কবে গড়াবে দিঘার রথের চাকা? কী জানালেন মমতা?]
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সারদা মামলায় ৬৫ পাতার চার্জশিট জমা দেয় ইডি। ওই চার্জশিটে পি চিদাম্বরমের স্ত্রী নলিনীর বিরুদ্ধে সারদা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের থেকে দেড় কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটের সঙ্গে ১১০০ পাতার নথিও জমা পড়েছে আদালতে। এর আগে টাকা নেওয়ার অভিযোগের জবাবে নলিনী জানিয়েছিলেন, তিনি যে টাকা নিয়েছিলেন সেটি আইনজীবী হিসেবে পরামর্শ দেওয়ার কনসালটেন্সি ফি। কিন্তু তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা।
ইডি সূত্রের দাবি, গোয়েন্দাদের মতে, ওই টাকা মোটেই আইনজীবী হিসেবে নেননি নলিনী। নিয়েছিলেন ‘প্রোটেকশন মানি’ হিসাবে। কেননা সেই সময় (২০১১-১২ সালে এই টাকা নেন নলিনী) তাঁর স্বামী ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর স্ত্রী হিসেবেই ওই টাকা নিয়েছিলেন চিদাম্বরম জায়া। ইডি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ‘ফ্রন্টিয়ার’ নিউজ চ্যানেলের এডিটর মনোরঞ্জনা সিংই সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে নাকি আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন নলিনীর। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সারদার সঙ্গে ৪২ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল ওই সংবাদমাধ্যমের।