সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) প্রতিরোধে শিশুদের কি টিকা দিয়ে সুরক্ষিত করা সম্ভব? সাম্প্রতিক মহামারীকালে এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছেই। বিশেষত অভিভাবকরা এ নিয়ে চিন্তিত। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই প্রতিষেধক (Vaccine)শিশু শরীরের জন্য নয়। আবার কারও দাবি, বড় হওয়ার সময়ে শিশুদের শরীরে এমনিই কিছু স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তাই টিকা অপ্রয়োজনীয়। এবার ভারত বায়োটেক অর্থাৎ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের উৎপাদনকারী সংস্থা জানিয়ে দিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রয়োজনীয় অনুমতি মিললে জুন থেকেই কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হবে শিশুদের উপর।
ভারত বায়োটেকের আন্তর্জাতিক স্তরের বাণিজ্যিক দিকটি দেখেন ডাক্তার রাকস এল্লা। তিনি হায়দরাবাদে এক ভিডিও বৈঠক করে জানান, ”আমরা গত বছর থেকে টিকা তৈরির কাজ করছি। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন একে উন্নততর করতেও আমরা নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছি। এবার ফোকাসে শিশুদের টিকাকরণ। এর মধ্যেই শিশুদের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন পাব বলে আশা করি। তাহলে জুনের শেষদিক থেকে শিশুদের উপর টিকা ট্রায়াল (Trial) শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।” কীভাবে, কতজন শিশুর উপর এই ট্রায়াল চালানো হবে, তা নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু জানানো হয়নি ভারত বায়োটেকের তরফে। তাদের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে সম্ভবত কোভ্যাক্সিনই (Covaxin)হবে প্রথম করোনা প্রতিষেধক, যা শিশুদের উপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে।
[আরও পড়ুন: কালো ও সাদার পর এবার দেশে ইয়েলো ফাঙ্গাসের হানা, কতটা বিপজ্জনক এই ছত্রাক?]
এদিন রাকস এল্লা জানিয়েছেন, চলতি বছরের মধ্যে ৭০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করবে ভারত বায়োটেক। যা দিয়ে কেন্দ্র সরকারকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত হবে বলেই মনে করেন তিনি। রাকস এল্লা জানিয়েছেন, আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেক যৌথভাবে কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে। ভ্যাকসিন কিনতে ১৫০০ কোটি টাকার অগ্রিম বরাত দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে উৎপাদনের গতি আরও বাড়বে। আর এভাবেই আগামী দিনে দেশের সেবায় তারা নিযুক্ত থাকতে পারবেন বলে আশাবাদী ভারত বায়োটেকের অন্যতম বাণিজ্যকর্তা।