সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্লাজমা থেরাপি সার্বিকভাবে সফল হয়নি। এবার কোভিড-১৯ (Covid-19) ভাইরাসের মোকাবিলা করতে পশুর রক্তের অ্যান্টিবডির (Animal-derived antibodies) উপরে ভরসা রাখতে চাইছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তথা আইসিএমআর (ICMR)। করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় পশুর রক্তের অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করার জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে তারা। পশুর শরীর অথবা রক্তের সেরামে অবস্থিত এই অ্যান্টিবডিকে বলা হয় অ্যান্টিসেরা। আপাতত ঘোড়ার শরীর থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডি দিয়েই ট্রায়াল চালাবে আইসিএমআর।
এই গবেষণায় আইসিএমআরের সঙ্গে কাজ করছে হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োলজিক্যাল-ই। এই দুই সংস্থা যৌথভাবে উচ্চমানের বিশুদ্ধ অ্যান্টিসেরা প্রস্তুত করেছে কোভিডের চিকিৎসার জন্য। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের হয়ে কোভিড-১৯ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অ্যান্টিবডি প্রয়োগের চিকিৎসরা কথা বলেন আইসিএমআরের ডিরেক্টর বলরাম ভার্গভ।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে রাতভর গুলির লড়াই, নিকেশ দুই জেহাদি]
তিনি জানান, ‘‘আমরা ঘোড়ার সেরাম নিয়ে গবেষণা করেছি। আমরা একটা অ্যাম্পিউলে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে রেখে তা রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেখব। এই সেরাম এর আগেও নানা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে প্রয়োগ করা হয়েছে। যেমন র্যাবিস, হেপাটাইটিস বি, টিটেনাস, ডিপথেরিয়া, ভ্যাকসিনা ভাইরাস ইত্যাদি।’’
তিনি আরও জানাচ্ছেন, ‘‘কোভিড-১৯ রোগীর শরীর থেকে প্রাপ্ত প্লাজমাকেও একইভাবে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে বদলে যায় অ্যান্টিবডির গঠন, তাদের কার্যকারিতা। ফলে তাকে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভরসাযোগ্য মনে করা যায় না।’’ প্রসঙ্গত, দেশের ৩৯টি হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে ৪৬৪ জন করোনা রোগীর শরীরে। কিন্তু এই চিকিৎসায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে তেমন লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন ড. ভার্গভ। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সেভাবে সমর্থ হয়নি প্লাজমা থেরাপি।