সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে ১৮ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে দেশজুড়ে করোনার (Coronavirus) সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছেন কোভিড যোদ্ধারা ( COVID warriors), তা কারওই অজানা নয়। নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও সংক্রমিত রোগীর শুশ্রুষায় যেভাবে তাঁরা নিজেদের নিয়োজিত করেছেন, তা দেখে কুর্নিশ করেছে গোটা দেশ। এই মুহূর্তে একটি ছবি ভাইরাল (Viral) হয়েছে। লাদাখে কোভিড যোদ্ধাদের খরস্রোতা নদী পারাপারের ছবি। যা দেখে মুগ্ধ সকলে। কোভিড যোদ্ধাদের লড়াকু মনোভাবকে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছে ওই ছবি।
ছবিটি নিজের টুইটারে শেয়ার করেছেন লাদাখের সাংসদ জামিয়াং সেরিং নামগ্যাল। শেয়ার করার সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘‘কোভিড যোদ্ধাদের একটি দল প্রত্যন্ত লাদাখে পরিষেবা দিতে যাচ্ছে। বাড়িতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং কোভিড যোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলুন।’’
[আরও পড়ুন: করোনা টিকা নষ্ট হলে ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে পড়বে কোপ, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র]
ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ‘আর্থ মুভার’ লোডার অর্থাৎ যেটি মূলত নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হয়, তাতে চেপেই পাড়ি দিয়েছেন ওই কোভিড যোদ্ধারা। তাঁদের মধ্যে দু’জনের পরনে আবার পিপিই কিট। পাথুরে নদীর তীব্র খরস্রোতা বহমান জলের উপর দিয়ে ওই লোডারেই নিজেদের গন্তব্যের দিকে চলেছেন তাঁরা। কোভিড যোদ্ধাদের প্রতিনিয়ত কতটা ঝুঁকির মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়, এই ছবি যেন তারই এক প্রতীকী প্রতিফলন। অনেক কথাই যেন মুহূর্তে বলে ফেলছে এই ছবিটি। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ছবি যে ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগবে না, তা অনুমান করাই যায়। দ্রুত সেটি ভাইরাল হয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে নেট দুনিয়ায়।
প্রসঙ্গত, গত বছর দেড়েক ধরেই কোভিড যোদ্ধাদের নিরলস পরিশ্রম ও জীবন বিপন্ন করেও সংক্রমিতদের শুশ্রুষায় রত থাকতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই হাসিমুখে কোনও নার্স প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করে চলেছেন কোভিড ওয়ার্ডে, এদৃশ্য একেবারেই বিরল নয়। গত সপ্তাহেই মেঘালয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা নার্সের মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে। আসলে গত এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঝাঁপিয়ে পড়ার পর থেকে দ্রুত হারে বাড়তে থাকা সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়েছে কোভিড যোদ্ধাদের। বহু ক্ষেত্রেই নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি, এমনকী বিনিময়েও সুস্থ করে তুলেছেন রোগীদের। সেই সংগ্রামেরই এক টুকরো ঝলক স্পষ্ট করে তুলছে এই ছবি। যা শেয়ার করে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।