সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের অমিল বিস্তর। তবে রয়েছে বেশ কিছু মিলও। বস্তুবাদী পৃথিবীতে নজরকারা সাফল্য রয়েছে পাশ্চাত্যের। আবার আধ্যাত্মিক চেতনায় বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে প্রাচ্য। প্রাচ্যের এই কৃতিত্বের সিংহভাগ ভারতের। এদেশের বিভিন্ন জাতি-ধর্মের সমন্বয়, বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের একত্রে বাস, রঙ-বেরঙের সংস্কৃতি বহু মানুষকে আকর্ষণ করে। আমেরিকার এই মহিলাও বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যে মুগ্ধ। তাই নিজের দেশে নয়, ভারতেই সন্তানদের বড় করতে চান তিনি।
গত চার বছর ধরে দিল্লিতেই বসবাস করছেন ক্রিস্টেন ফিশার। পেশায় তিনি এক সংস্থার কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তিন সন্তান রয়েছে ক্রিস্টেনের। আর পাঁচটা মায়ের মতো তিনিও চিন্তিত ছেলে-মেয়েদের সঠিক লালন-পালন। তিনি চান, সন্তানদের মধ্যে মূল্যবোধ, নৈতিকতার সঠিক বিকাশ ঘটুক। বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে তারা অবগত হোক। আর এই সবের জন্য প্রয়োজন ভালো পরিবেশের। এদেশে থেকে ক্রিস্টেন বুঝেছেন তাঁর সন্তানদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার ভারতের থেকে ভালো জায়গা কিছু হবে না। এর জন্য নিজের ইনস্টাগ্রামে বিশেষ কয়েকটি কারণও জানিয়েছেন তিনি।
প্রথমেই ক্রিস্টেন লিখেছেন, 'ভিন্নভাবে বিশ্ব চিনতে ভারত আমার সন্তানদের সাহায্য করবে। ওরা বিশ্বব্যাপী নানা সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারবে। আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। সেগুলোর মোকাবিলা করতে শিখবে। জীবনের বিভিন্ন ধরণ সম্পর্কে জানতে পারবে। যা তাদের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জানতে, বুঝতে সাহায্য করবে।' এরপর তিনি লেখেন, 'ভারত তাঁর সন্তানদের সহানুভূতিশীল করে তুলবে। সামাজিকভাবে দক্ষ করবে।' ভারতীয় পরিবারের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ' ভারতীয় পরিবারগুলোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন তাঁর সন্তানদের মধ্যে মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাবে। সন্তানদের মধ্যে আত্মীয়তা বাড়বে। মানসিক বিকাশ ঘটাবে।' তবে ক্রিস্টেন এও লিখেছেন, ভারতের তুলনায় আমেরিকায় অর্থ উপার্জন করা বেশি সহজ। কিন্তু এই দেশ তাঁর সন্তানদের অনেক কিছু শেখাবে। যার সাহায্যে তারা জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।