সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই আতঙ্ক হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) একাধিক নয়া স্ট্রেন। হু হু করে রাজ্যে বাড়ছে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণ। তা রুখতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে একাধিক বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে থাকায় রাজ্যে আরও কড়া কোভিডবিধি জারি হতে পারে। বৃহস্পতিবার ভারচুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্টভাবে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন। মাস্ক ব্যবহার কার্যত বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। তবে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”মাস্ক কম্পালসারি, হাতে হ্যান্ডগ্লাভস বা স্যানিটাইজার। মেয়েরা চুল ঢাকুন। মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, হেডস্কার্ফ মাস্ট। প্রশাসন জোর করে মাস্ক পরাতে পারবে না। নিজেরা দয়া করে মাস্কটা পরুন। পুলিশকেও বলছি, এবার একটু কড়া হাতে এসবের মোকাবিলা করুন।” এই মুহূর্তে বাড়ির কেউ করোনা আক্রান্ত হলে, সেই পরিবারের বাকি সদস্যরাও কম মেলামেশা করুক, একান্ত প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে না বেরনো-সহ একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোর দিয়েছেন ওয়ার্ক ফ্রম হোমে (Work from Home)।
[আরও পড়ুন: কোভিড বিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলা করতে চায় রাজ্য, হাই কোর্টে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল]
হু হু করে ছড়িয়ে পড়া কোভিড (COVID-19) সংক্রমণকে বাগে আনতে এই মুহূর্তে কী কী করণীয়, তা বিশদে এদিন বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এও বলেন, ”ট্রেন বন্ধ করে দিলে প্রচুর মানুষের অসুবিধা হবে। আবার ট্রেন চালু রাখলে সবাই গাদাগাদি করে যাবে। তাহলে আমরা কী করব? এগোব না পিছব? মানুষের রুটিরুজি বন্ধ হয়ে যাক, এটা তো হতে পারে না। তাই বলছি, আপনারা নিজেরা মাস্ক পরুন, সতর্ক হয়ে চলাফেরা করুন।” তারপরই তাঁর বার্তা, ”এসবে যদি সংক্রমণ না কমে, তাহলে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদের।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা, ১৫ জানুয়ারির পর থেকে আরও কড়া বিধিনিষেধ জারি হতে পারে রাজ্যে।
[আরও পড়ুন: কে যে বাছাই করে! পুরভোটে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে BJP নেতৃত্বকে তোপ অনুপম হাজরার]
কর্মক্ষেত্রে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’ জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি নিজেও অফিস যাচ্ছেন না। বাড়ি থেকে কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে একটি ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবে মোদি। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কালীঘাটের বাড়ি থেকেই ভারচুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। সেখান থেকেই ভারচুয়ালি তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতে পারে।