shono
Advertisement

Breaking News

বঙ্গে করোনা বিধি মেনে নির্বাচন হলে দিনের দিন বেরবে না ফলাফল! আশঙ্কা এমনই

বিহার নির্বাচন দেখেই বিষয়টি পরিষ্কার। ‌
Posted: 10:50 PM Nov 10, 2020Updated: 10:50 PM Nov 10, 2020

শুভঙ্কর বসু:‌ কুর্সি কার? ভোট (Election) গণনার দিন দুপুরের মধ্যেই সাধারণত ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে নির্বাচন চালু হওয়ার পর থেকে দেশের যেকোনও প্রান্তে যেকোনও ভোটে এটাই ছিল দস্তুর! কিন্তু করোনা যে সব হিসেব ওলট–পালট করে দিয়েছে। বিহার নির্বাচনের (Bihar Election 2020) ভোট গণনায় তা আরও একবার হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেল। স্পষ্ট চিত্র পেতে দুপুর গড়িয়ে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এ রাজ্যেও তো ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন। এখানেও কি এমনটাই হতে চলেছে?

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার কথায়, ভাইরাসের প্রকোপ জারি থাকলে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। বিহারের (Bihar) তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু আসন সংখ্যা আরও বেশি সেক্ষেত্রে সেখানে গণনায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে। এমনকী পরের দিনও হয়ে যেতে পারে।

[আরও পড়ুন: বিহারের ফলের কী প্রভাব বঙ্গে? ‘তৃণমূলও থাকবে না’, দাবি কৈলাসের]

কিন্তু বিহারে ভোট গণনায় কেন এত সময় লাগল? আসলে, করোনা আবহে বিহার ভোটকেই এবার মডেল করতে চাইছে নির্বাচন। সাধারনত একটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ভোটারের সীমা থাকে ১,৫০০ জনের মতো। কিন্তু মহামারীর কারণে সুরক্ষা বিধির তাগিদে এবার বিহারে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক ভোটারের সংখ্যা ছিল ১ হাজার জন করে। এর ফলে বিহারের মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বা বুথের সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। ২০১৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বুথের সংখ্যা ছিল ৭৩,০০০ টি। চলতি নির্বাচনে সেখানে এবার বুথ সংখ্যা হয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার। ফলে অনান্যবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ফলে গণনা কেন্দ্রের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া গণনা কেন্দ্রগুলিতে কোভিড বিধি সংক্রান্ত বাড়তি নিয়মকানুন গণনা প্রক্রিয়া শ্লথ করে দিয়েছে । স্বাভাবিকভাবেই তাই দুপুর ৩টে পর্যন্ত তিন ধাপের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট গণনা সম্ভব হয়।

মহামারীর প্রকোপ জারি থাকলে পশ্চিমবঙ্গেও একই চিত্র দেখা যাবে বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের আরেক কর্তা জানান, এ রাজ্যেও বুথ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। যেসব বুথে দেড় হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে সেগুলোকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই প্রাথমিকভাবে ৯৯ বুথ বাড়বে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর চিত্রটা আরও স্পষ্ট হবে।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার পরামর্শ তৃণমূল সাংসদের, তুঙ্গে জল্পনা]

গত নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যে মোট ৭৮ হাজার ৩০০ টি বুথ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এবারও ভোটার তালিকায় কয়েক লক্ষ নতুন ভোটার সংযোজিত হতে চলেছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরে এসেছেন। সেক্ষেত্রে বিহারের মতোই এ রাজ্যেও বিপুল সংখ্যক বুথ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বুথ সংখ্যা বৃদ্ধি হলে ইভিএমের সংখ্যাও অনেকটাই বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, শুধু বুথ সংখ্যা বৃদ্ধি নয়। বিহারের বা দেশের যে কোন রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট দানের হার বরাবরই বেশি থাকে। তাই গণনায় যে দীর্ঘ সময় লাগবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিস্থিতি এমন থাকলে আসন্ন নির্বাচনে দিনের দিন ফল নাও জানা যেতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement