সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও চরিত্র বদলে ফেলতে শুরু করেছে ব্রিটেনের (UK) করোনা (Coronavirus) স্ট্রেন (Strain)। এত দ্রুত তার পালটে যাওয়ার কারণেই হয়তো ভ্যাকসিনেও কাবু করা যাবে না এই নয়া স্ট্রেনকে। এই আশঙ্কা বাড়ছে।মি উটেশন ঘটানো এই স্ট্রেনটিকে ই৪৮৪কে নামে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। স্বাভাবিক ভাবেই এর ফলে উদ্বেগ আরও বাড়ছে ব্রিটেন প্রশাসনের।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, একবার করোনা আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিকেও ফের আক্রান্ত করে দিতে পারে এই স্ট্রেন। রাতারাতি ‘সুপার পাওয়ার’ হয়ে ওঠা এই স্ট্রেনকে ঘিরে তাই সতর্ক প্রশাসন। কেবল ব্রিটেনের স্ট্রেনই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনটি থেকেও মিউটেশন ঘটিয়ে ই৪৮৪কে স্ট্রেন তৈরি হওয়ার নজির মিলেছে। যেহেতু এই নয়া স্ট্রেন আরও বেশি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম, তাই মঙ্গলবার থেকেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে করোনা পরীক্ষা করা শুরু করেছেন ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: ‘বালোচদের মিসাইল দেওয়া হোক’, পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে নিদান দুবাইয়ের পুলিশকর্তার]
প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে সেই আটটি এলাকা যেখানে ব্রিটেন স্ট্রেনের প্রথম খোঁজ মিলেছিল। ওই এলাকার মানুষদের পারস্পরিক মেলামেশা বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপসর্গ থাকা কিংবা না থাকা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সকলেরই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এমনকী, তেমন পরিস্থিতিতে যাতে করোনার উপসর্গ থাকলে বাড়িতে বসেই পরীক্ষা করে নেওয়া যায়, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এককথায়, যে করেই হোক এই নতুন স্ট্রেন থেকে যাতে সংক্রমণ আরও না বাড়তে পারে তা নিশ্চিত করতে মরিয়া ব্রিটেন সরকার।
ব্রিটেনে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। গত ডিসেম্বরই এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, সেখানকার ৯ শতাংশ মানুষই ততদিনে করোনা আক্রান্ত। মোট ২০ হাজার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তার মধ্যে ৯ শতাংশের শরীরেই সংক্রমণের চিহ্ন রয়েছে। সেই হিসেবে অতিমারীর প্রথম ন’মাসে ৬০ লক্ষ ব্রিটেনের নাগরিক করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। ফলে পরবর্তী মাস দুয়েকেও যে সংক্রমণ আরও বেড়েছে, তা অনুমান করাই যায়।