অভিরূপ দাস: করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত কবি জয় গোস্বামীর (Joy Goswami) শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক। ১২ লিটার অক্সিজেন লাগছে তাঁর। পালস রেট ১১২-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা আরও বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে বলে খবর। এনআরবিএম বা নন-রিব্রিদার মাস্ক (Non-rebreather mask) পরিয়ে রাখা হয়েছে কোভিড ১৯ আক্রান্ত কবিকে। এটি সাধারণত অক্সিজেন থেরাপির (Oxygen Therapy) ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলেই এই থেরাপি শুরু করা হয়।
রবিবার সকাল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৬৬ বছরের কবি। জ্বর, সঙ্গে বমি। দেখা দেয় করোনার (COVID-19) উপসর্গ। পরীক্ষা করানোর পর রাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁর শারীরিক অবস্থারও অবনতি ঘটে। এরপর আর ঝুঁকি নেয়নি পরিবার। সেদিন রাতেই কবিকে ভরতি করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে (Beleghata ID Hospital)। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। কবির আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করছেন অনুরাগীরা।
[আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়]
দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার থাবা ক্রমশই চওড়া হচ্ছে দেশজুড়ে। বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ১৯,৪২৮ জন। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ৩,৭৮৫ জন। ইতিমধ্যেই মারণ ভাইরাসের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলায় সাহিত্য জগতের মহীরূহসম কবি শঙ্খ ঘোষ। তাঁর মৃত্যুর আটদিন পর করোনার ছোবলেই প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ। কোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতার শিকার হয়ে প্রয়াত হয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার কোভিডের কোপে প্রাণ হারিয়েছেন অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের মা সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন তিনি। মিন্টো পার্কের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। গত ৭ দিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।